এখানেই মেস করে থাকেন ওই শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র
সকালে গ্যাস জ্বালানোর সময়ে সিলিন্ডার ফেটে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন আট জন ঠিকা শ্রমিক। সোমবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর থানার পিঠাইকেয়ারির ঘটনা। জখমদের উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানান। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই শ্রমিকেরা এনটিপিসি-র রূপনারায়ণপুর পাওয়ার গ্রিডে একটি ঠিকা সংস্থার অধীনে কাজ করেন। তাঁরা ‘স্ক্র্যাপ কাটিং’-এর কাজ করেন। পাওয়ার গ্রিড লাগোয়া এলাকায় তাঁরা মেসে থাকেন। সকলেই উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তাঁদের এক সহকর্মী বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী পুলিশকে জানান, ওই কর্মীরা নিজেরাই মেসে রান্না করেন।
সোমবার সকালে ওই শ্রমিকদেরই কেউ চা বানানোর জন্য আভেন জ্বালান। সেই সময়েই আগুন ধরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সিলিন্ডারটি ফেটে যায়। ঘটনার সময়ে বেশির ভাগ শ্রমিকই শুয়েছিলেন। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ও মেস থেকে আগুনের হলকা বার হতে দেখে ছুটে আসেন আশপাশের বাসিন্দারা। তাঁরাই জল ঢেলে আগুন নেভান। দেখা যায়, ওই শ্রমিকেরা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সকলকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ দিন হাসপাতালে দাঁড়িয়ে পাওয়ার গ্রিডের এক আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষাল বলেন, ‘‘রবিবার বেশ রাত পর্যন্ত জেগেছিলেন ওই শ্রমিকেরা। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। প্রত্যেকের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।’’ আধিকারিকদের দাবি, সহকর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিকেরা সম্ভবত রাতে আভেন ও সিলিন্ডারের রেগুলেটরের ‘নব্’ বন্ধ করেননি। তাই, সকালে গ্যাস জ্বালাতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে।
সোমবার জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা গিয়েছে, ওই শ্রমিকদের কেউই কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। চিকিৎসকেরা জানান, সকলকেই ‘বার্ন ইউনিট’-এ ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, সাত জনের অবস্থা স্থিতিশীল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy