আদর্শ বিদ্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র
বরাদ্দ টাকায় মিড-ডে মিলের খাবার জোগাতে বিপদে পড়ছে একাধিক স্কুল। কোথাও শিক্ষকেরা সাহায্য করছেন, কোথাও মেনুকে কাটছাঁট করা হচ্ছে। বর্ধমানের আদর্শ বিদ্যালয় অন্য পথে হেঁটে স্কুলের ছাদেই তৈরি করে ফেলেছে আনাজ বাগান। ফলেছে ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো আনাজ।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, বাগানে অনেক দিন আগেই মরসুমি ফুল, আনাজ চাষ শুরু করেছিলেন শিক্ষকেরা। বাগানে উৎপাদিত ফসল থেকে মিড-ডে মিল রান্নাও হয়েছে। বছরখানেক আগে স্কুলের ছাদটাও ব্যবহার করার কথা ভাবেন তাঁরা। শিক্ষকেরা জানান, ৫০০ বর্গফুটের ছাদ ফেলে না রেখে কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা করা হয়। সাহায্যে এগিয়ে আসে একটি বেসরকারি সংস্থাও। তারাই প্রাথমিক খরচও করে।
স্কুলের ছাদ যাতে জল-মাটিতে নষ্ট না হয় প্রথমেই সে জন্য একটি আস্তরণ দেওয়া হয়। তারপরে মাটি ফেলে তৈরি হয় জমি। আলাদা আলাদা খোপ করে চাষ শুরু হয় বাঁধাকপি, ফুলকপি, লঙ্কা ও টোম্যাটো। ধাপে ধাপে ফসল রক্ষা করতে ছাদের পাঁচিলের উপরে তারের জাল বসানো হয়। তার দিয়ে ঘেরা হয় বাগানেও উপরের অংশও। বাগান পরিচর্যায় দায়িত্বে থাকা দুই শিক্ষক রতন বাগ ও বৈদ্যনাথ হেমব্রম জানান, ফসল রক্ষা করতেই ঘিরে দেওয়া হয়েছে বাগান। নিয়মিত জল দেওয়ার পরিকাঠামোও গড়া হয়েছে। ওই বাগানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মরসুমি চাষ করা হবে বলেও তাঁদের দাবি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবীরকুমার দে জানান, অন্য শিক্ষিক ও স্কুলের ‘চাইল্ড ক্যাবিনেট’ও বাগানের দেখভাল করে। ওই বেসরকারি সংস্থা প্রাথমিক খরচ করলেও বাগান রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব স্কুলেরই, জানান তিনি। সুবীরবাবু বলেন, ‘‘অস্থায়ী ভাবে একবা র এই চাষ করা হয়েছিল। তাতে সাফল্যই পাকাপাকি ‘রুফ টপ ভেজিটেবেল গার্ডেন’ গড়ার উৎসাহ দেয়।’’
সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক মৌলি সান্যাল বলেন, ‘‘ওই বাগানের ছবি দেখেছি। অল্প জায়গায় এত আনাজ কী ভাবে চাষ করেছে সেটা দেখতে ওই স্কুলে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy