বর্ধমানের বীরপুরে ছাত্রীর মৃত্যুর পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রাকে। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
ট্রাকের ধাক্কায় এক বালিকার মৃত্যুতে তেতে উঠল বর্ধমানের বীরপুর এলাকা। ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, বিক্ষোভ-অবরোধ চলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে। অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশ বাধা পায়। ঘণ্টা তিনেক পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
শনিবার সকালে বর্ধমানের পালিতপুর থেকে তালিতের দিকে যাওয়ার সময়ে বীরপুরে লিঙ্ক রোডে একটি খালি ট্রাক ধাক্কা দেয় মাসিনা খাতুন (৭) নামে ওই বালিকাকে। ঘটনাস্থলেই মেয়েটির মৃত্যু হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার বাড়ি বর্ধমান শহরের গোদা এলাকায়। তবে সে বীরপুরে মামারবাড়িতে দিদিমার কাছে থাকত। সেখানেই একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।
ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ জনতা ওই ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। চালককে আটকে রাখা হয়। শুরু হয় পথ অবরোধ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সামনের গাড়িকে ‘ওভারটেক’ করতে গিয়েই ট্রাকটি ওই বালিকাকে ধাক্কা দেয়। ট্রাকের চাকার তলায় পড়ে যায় মেয়েটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশ। তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ চলে। স্থানীয় বাসিন্দা মমতাজ খাতুন, শেখ আজিজুল, শেখ সমীর, শেখ রমজানেরা দাবি করেন, অবিলম্বে এই রাস্তায় হাম্পের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া দিনেরবেলায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। পুলিশ দাবি মেটানোর ব্যাপারে আশ্বাস দিলে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে।
মাসিনার মা ময়না বেগম জানান, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে দেখে বাড়িতে কেউ নেই। তাই সে দিদিমাকে খুঁজতে বেরিয়েছিল। তখনই রাস্তায় চলে যায় সে। বালিকার দিদিমা সায়রা বেগম বলেন, ‘‘আমি বাড়িতে না থাকার জন্যই এমন ঘটে গেল। এটা মেনে নিতে পারছি না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy