প্রতীকী ছবি।
এই ধরনের জায়গাগুলিতে নানা রকম সুগন্ধি তামাক খাওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু শহরের নানা প্রান্তের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তামাকের আড়ালে আসলে হুক্কা বারগুলিতে চলছে নানা ধরনের মাদকদ্রব্যের কারবার। সম্প্রতি আসানসোলে একটি হুক্কা বারে গোলমালও বেধেছিল। সেই ঘটনা সামনে আসার পরেই শহরের হুক্কা বারগুলিতে কড়া নজরদারি চালানো হবে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। আসানসোল পুরসভা আবার জানিয়েছে, কোনও হুক্কা বারেরই অনুমতি নেই। তাই সবক’টিই বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি শহরের এসবি গড়াই রোডের একটি হুক্কা বারে দু’দল যুবকের মধ্যে ব্যাপক গোলমাল বাধে। বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, মাদকের কারবারের জেরেই এই ঘটনা। এলাকাবাসীর দাবি মেনে শেষমেশ ওই বারটি বন্ধ করে দেয় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। স্থানীয় কাউন্সিলর বাবন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘এলাকাবাসী চান না, হুক্কা বার ফের চালু হোক। তাই এখানে আর তা খুলতে দেওয়া হবে না।’’
কিন্তু হুক্কা বার খোলার নিয়মটিই বা কী? আবগারি দফতর জানিয়েছে, এই ধরনের বার চালুর আগে তাদের অনুমতি লাগে না। তবে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠির কথায়, ‘‘হুক্কা বার খোলার জন্য আবগারি দফতরের অনুমতি লাগে না ঠিকই। তবে এলাকায় ব্যবসার জন্য পুরসভা ও দমকলের অনুমতি নিতে হবে। এ সব হুক্কা বারের আড়ালে মাদকের ব্যবসা হলে আবগারি দফতর কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে।’’
সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে শহরবাসীকেও বিষয়টি নিয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর্জি জানানো হয়েছে হুক্কা বারে মাদকের ব্যবসা চলার খবর পেলে প্রশাসনকে যেন খবর দেওয়া হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আবগারি দফতরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট তুহিন নাগ বলেন, ‘‘আমরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছি। হুক্কা বার নিয়ে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। তবে এখানে মাদকের ব্যবসা হলে কঠোর শাস্তি হবে।’’
তবে শহরের সমস্ত হুক্কা বারগুলি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন আসানসোল পুরসভার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বাঁকা পথে মাদকের কারবার বন্ধ করতেই পুর কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ করা উচিত।’’ এ বিষয়ে আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, এসবি গড়াই রোডের হুক্কা বারে ঝামেলা হওয়ার পরেই খোঁজ করে দেখা গিয়েছে, পুরসভার অনুমতি নেয়নি ওই হুক্কা বারটি। অমরনাথবাবুর দাবি, ‘‘পুরসভার তরফে এ পর্যন্ত একটিও হুক্কা বার চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। অথচ শহরে বেশ কয়েকটি হুক্কা বার চলছে। হুক্কা বারগুলিতে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোর আগেই অভিযান চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy