Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ফের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু, অভিযোগ মারধরেরও

পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে সাইকেলে বছর পাঁচেকের ছেলেকে বসিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন জগাইবাবু। গ্যামন ব্রিজ মোড়ে একটি ট্রেলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেলে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।

‘আক্রান্ত’। নিজস্ব চিত্র

‘আক্রান্ত’। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ০১:০৩
Share: Save:

মাঝে মাত্র এক দিনের ব্যবধান। তার মধ্যেই ফের বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের গ্যামনব্রিজ মোড়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। মৃত স্টেশন লাগোয়া রেল কলোনির বাসিন্দা জগাই সিংহ (৪৫) একটি হোটেলের কর্মী। ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের মারধর করে বলে অভিযোগ।

পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে সাইকেলে বছর পাঁচেকের ছেলেকে বসিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন জগাইবাবু। গ্যামন ব্রিজ মোড়ে একটি ট্রেলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেলে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। জখম হন তাঁর ছেলেও। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। বাসিন্দাদের একাংশ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেই সময়ে বিক্ষোভকারীদের কয়েক জন সিভিক ভলান্টিয়ারদের তাড়া করে ধরে ফেলেন। অভিযোগ, তাঁদের মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। পুলিশের বড় বাহিনী ‘মৃদু লাঠি চালিয়ে’ সিভিক ভলান্টিয়ারদের উদ্ধার করে বলে এলাকাবাসীর একাংশ জানান। ঘটনায় চার জন সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ অবশ্য লাঠি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক যানজট হয় স্টেশনগামী বিসি রায় রোডে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারেরা কাজের সময়ে গাছতলায় বসে মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন। এমনিতেই বিসি রায় রোডের যানবাহনের সংখ্যা বেশি। তার উপরে ওই মোড়ে যোগ হয়েছে হ্যানিমান সরণি। রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের বিভিন্ন কারখানা থেকে ট্রাকগুলি ওই মোড়ে এসে বিসি রায় রোডে পড়ে। আবার বাঁকুড়া রোড ওভারব্রিজ সংস্কারের কাজ চলায় তা বন্ধ। ফলে বহু যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্যামন ব্রিজ দিয়ে। সব মিলিয়ে যানবাহনের সংখ্যা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। কিন্তু পাল্লা দিয়ে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত কোনও ব্যবস্থা না নেওয়াতেই বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার এই এলাকাতেই ট্রাকের ধাক্কায় স্কুটিআরোহী এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল।

ঘটনার পরে পুরসভার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যানবাহনের চাপ বেড়েছে। দুর্ঘটনা বন্ধ করতে গেলে কড়া ভাবে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পুলিশের কাছে সেই আর্জি জানিয়েছি।’’ দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Violence Road Accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE