রাজ্যের নানা শহরে বড় করে উৎসব হয়। এত দিন বার্নপুরে হলেও আসানসোল শহরে তা হতো না। অবশেষে জাঁকজমক করে ‘আসানসোল উৎসব’-এর উদ্যোগ হল।
উৎসব কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, কল্যাণপুরের কাছে এডিডিএ মাঠে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ১১ দিন চলবে উৎসব। প্রতি দিনই বিভিন্ন নামী শিল্পীরা থাকবেন। মা-মাটি-মানুষ, লোক সংস্কৃতি, জীবন, যুব, রাগ, মেহফিল, শিশু, শ্রমজীবী, নাগরিক, নারীশক্তি ও আগমনী— ১১ দিনই আলাদা-আলাদা নামে উৎসব হবে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠান করবেন দেবশ্রী রায়ের দল, শ্রীকান্ত আচার্য, রূপঙ্কর, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, লোপামুদ্রা ও রুদ্রনীলের মতো রাজ্যের নামী শিল্পীরা। নাটক করবে চিন্ময় রায়ের দল।
উৎসব কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় শিল্পীদের উৎসাহ দিতে প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তাঁদের নিয়ে অনুষ্ঠান হবে। তার পরে বাইরের শিল্পীরা অনুষ্ঠান করবেন। এ ছাড়াও আঁকা প্রতিযোগিতা, ক্যুইজ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। উৎসবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক চন্দ্রশেখর কুণ্ডু জানান, প্রায় ১৫০ স্টল থাকবে মেলা প্রাঙ্গণে। রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, তন্তুজ এবং বেসরকারি নানা সংস্থার স্টলের পাশাপাশি থাকছে বেশ কিছু বইয়ের স্টল, হস্তশিল্পের স্টল। সামনে দুর্গাপুজো থাকায় মেলায় আসা স্টলগুলি ভাল বিক্রিবাটা করতে পারবে বলে আশা উদ্যোক্তাদের। আবার একই মঞ্চে রাজ্যের নামী শিল্পীদের সঙ্গে অনুষ্ঠান করতে পারায় আসানসোলের শিল্পীদের প্রতিভার বিকাশ ঘটবে বলেও আশা তাঁদের। এই উৎসব বড় পরিসরে করার ক্ষেত্রে এটিও একটি অন্যতম কারণ বলে জানান মলয়বাবু। পরবর্তী সময়ে উৎসব কমিটির তরফে শহরের দুঃস্থ ও মেধাবি পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। স্থানীয় কবি সুভাষ মণ্ডল, চিকিৎসক ও কবি অরুণাভ সেনগুপ্ত, চিত্রকর সত্যেন গঙ্গোপাধ্যায়, শিল্পী সঞ্জীবন বন্দ্যোপাধ্যায়েরা দেরিতে হলেও শহরের নামে এই উৎসবের পরিকল্পনায় খুশি। পরের বছর শহরের নাট্যদলগুলিকে উৎসবে ডাকার জন্য উৎসব কমিটির কাছে আবেদন জানান শহরের নাট্যকার স্বপন বিশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy