ফাইল চিত্র।
পাঁচ বছর পর ফের ১০০ দিনের কাজে দেশের মধ্যে সেরার স্বীকৃতি পেল পূর্ব বর্ধমান। সামগ্রিক ভাবে কেন্দ্রীয় ওই প্রকল্পে ভাল কাজের জন্যে এই পুরস্কার দেবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও এ রাজ্য থেকে ওই প্রকল্পে পুরস্কৃত হচ্ছে কোচবিহার। ট্যুইট করে দু’টি জেলার প্রশাসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র একটি অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
২০১৩ সালে অবিভক্ত বর্ধমান ১০০ দিনের কাজে সেরা জেলা হয়েছিল। ২০১৭-২০১৮ অর্থবর্ষে আবার দেশের ১৮টি জেলার সঙ্গে এই পুরস্কার পাচ্ছে পূর্ব বর্ধমান। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কর্মদিবস তৈরি, টাকা খরচ, পরিবার পিছু গড় কাজ দেওয়ার পাশাপাশি ‘ব্যতিক্রমী’ কাজের জন্য এই পুরস্কার মিলছে। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘পরিদর্শনে এসে কেন্দ্রের আধিকারিকেরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ইকো পার্ক, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য প্রাণিপালনের আচ্ছাদন তৈরি, গ্রামীণ হাট-সহ নানা প্রকল্প দেখে খুশি হয়েছিলেন।’’ ১.৯৩ কোটি কর্মদিবস তৈরি করে সেরা জেলা হয়েছে পূর্ব বর্ধমান। ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরের তুলনায় গড় কাজও দ্বিগুন (৬৬ দিন) করেছে জেলা।
জেলা প্রশাসন জানায়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ১০০ দিন প্রকল্পের প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য এ রাজ্য থেকে পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি মনোনীত হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পরে পূর্ব বর্ধমান ও কোচবিহারকে পরবর্তী ধাপের জন্য বেছে নেন আধিকারিকেরা। গত ১৯ মে দিল্লিতে গিয়ে ১০০ দিন প্রকল্পের নোডাল অফিসার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য কাজের খতিয়ান উপস্থাপন করেন। সেখানে তিনি জানান, গত বছরের চেয়ে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে প্রায় ২১০ কোটি টাকা বেশি খরচ করা হয়েছে। সে বছরে ১০০ দিন প্রকল্পে পূর্ব বর্ধমান ৭৭০ কোটি টাকা খরচ করেছিল। এ ছাড়া কর্মদিবস তৈরি থেকে সম্পদ তৈরিতেও কী ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে, সে তথ্য তুলে ধরেন। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “পুরস্কার কমিটির সদস্যেরা ৩১ মে ও ১ জুন জেলার ৯টি ব্লক ও ১৩টি পঞ্চায়েতে আমাদের নানা কাজ ঘুরে দেখেন। তার রিপোর্টের ভিত্তিতেই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।’’
জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি দেবু টুডুর অবশ্য অভিযোগ, ‘‘এই প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র নানা ভাবে আমাদের সঙ্গে বঞ্চনা করেছে। কিন্তু জেলার সকলের চেষ্টায় সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছি আমরা।’’ বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দী অবশ্য বলেন, ‘‘উন্নয়ন নিরিখে আমাদের সরকার যে রাজনীতি করে না, তা বোঝা গেল।’’ এই সাফল্য ধরে রাখাই লক্ষ্য, বলছেন প্রশাসনের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy