প্রতীকী ছবি
গোটা রাজ্যের সঙ্গে জেলাতেও লাফিয়ে বেড়েছে ‘গৃহ পর্যবেক্ষণ’-এ (‘হোম কোয়রান্টিন’) থাকা মানুষের সংখ্যা।
বুধবার পর্যন্ত ভিন্-রাজ্য থেকে জেলায় আসা মোট ২,০৭২ জনকে ও বিদেশ থেকে আসা ৩০৫ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তবে ১৪ দিনের নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ভিন্-রাজ্য থেকে আসা ২২২ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণ থেকে মুক্তও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। ঘটনাচক্রে, সোমবার পর্যন্তও গৃহ পর্যবেক্ষণে জেলা জুড়ে ছিলেন ৫৩৮ জন। এই সংখ্যাবৃদ্ধির কারণ হিসেবে প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের ব্যাখ্যা, ‘পরিযায়ী’ শ্রমিকদের একটা বড় অংশ জেলায় ফিরেছেন। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার সময়ে সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করায় মোট ৫৭ জনকে জেলার ‘কোয়রান্টিন কেন্দ্র’গুলিতে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সালানপুর ব্লকের ৩০ জন ও জামুড়িয়া ব্লকের ২৭ জন আছেন। সেই সঙ্গে দুর্গাপুরে কর্মরত বেসরকারি কারখানার করোনা-আক্রান্ত আধিকারিকের সংস্পর্শে আরও কেউ এসেছিলেন কি না, সে বিষয়েও সন্ধান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এমন ১১ জন কর্মী ও তাঁদের পরিবারের ন’জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, বুধবার ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৪০ জনের ‘পরিযায়ী’ শ্রমিকদের একটি দলকে বরাকরের ডুবুরডিহি সীমানায় আটকানো হয়। তাঁদের দুপুরের খাবার খাইয়ে ফের ঝাড়খণ্ডেই ফেরত পাঠানো হয়। সীমানা ‘সিল’ থাকায় এই পদক্ষেপ বলে জানায় পুলিশ।
অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানান, এই সময়ে, জেলার ইটভাটাগুলিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে শ্রমিকেরা আসেন। তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর করা হচ্ছে। একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে এর জন্য। ওই শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা ও বেতন দেওয়ার জন্য ইটভাটা মালিকদের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, জেলার স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাইকর্মীদের জন্য সরকারের তরফে পর্যাপ্ত পরিমাণে ‘গামবুট’ ও দস্তানা পাওয়া গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy