ফাইল চিত্র
‘লকডাউন’-এর দিনগুলিতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেন মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে। মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের আধিকারিকেরা, বিভিন্ন বণিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খাবার, মুদির দোকানের জিনিসপত্র, ফল, আনাজ, দুধ, ওষুধ, মাছ, আলু-সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ ও জোগান লকডাউনের দিনগুলিতে কী ভাবে স্বাভাবিক থাকবে তা নিশ্চিত করতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কোনও রকম কালোবাজারি বা মজুতদারি করার ঘটনা নজরে এলে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এ ছাড়া, অকারণে আতঙ্কিত হয়ে ক্রেতারা যেন এক সঙ্গে বাজারে গিয়ে ভিড় না করেন, বেশি পরিমাণে সামগ্রী কিনে ঘরে মজুত করে না রাখেন সে ব্যাপারে নজরদারি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
বৈঠকে যোগ দেওয়া বিভিন্ন বণিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এই সঙ্কটের সময়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন তাঁরা। ভিড় এড়াতে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাজার খোলা রাখার সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, পাইকারি বিক্রি হবে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। অন্য দিকে, খুচরো বিক্রি হবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ক্রেতাদের নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি সামগ্রী দেওয়া হবে না বলে ঠিক হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রেতাদের ভিড় এড়াতে দোকানদাররা প্রথমে তাঁদের ‘টোকেন’ দেবেন। ক্রেতারা এর পরে বাইরে গিয়ে ফাঁকা জায়গায় পরস্পরের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করবেন। সময় এলে সামগ্রী নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন। অনেকেই বিশেষ ধরনের ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ ওষুধ কিনতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তা রুখতে এখন থেকে ওষুধের দোকানে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া, জীবনদায়ী ওষুধ বিক্রি করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘‘বেনিয়ম রুখতে ব্লক থেকে মহকুমা প্রশাসনের তত্বাবধানে একাধিক ‘ফ্লাইং স্কোয়াড’ বানানো হয়েছে। এই স্কোয়াড প্রত্যেক এলাকায় অভিযান চালাবে। বেনিয়ম দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ‘ফ্লাইং স্কোয়াড’ এলাকা ঘুরতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy