Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

হেঁটে যাওয়া শ্রমিকদের গাড়ি

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে ১০টি ‘ওয়াচ টাওয়ার’ রয়েছে। সেখান থেকে হেঁটে বা সাইকেলে কেউ যাচ্ছেন কি না, নজর রাখা হচ্ছে।

ফিরছেন শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

ফিরছেন শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২০ ০১:৫০
Share: Save:

হেঁটে বা সাইকেলে বাড়ি ফিরছেন বহু ‘পরিযায়ী’ শ্রমিক— দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে এমন ছবি দেখা যাচ্ছে কয়েকদিন ধরেই। তাঁদের আটকাতে রাস্তায় পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু তা এড়াতে বাঁধ, ক্যানালের পাড় বা লাগোয়া এলাকার ছোট-ছোট রাস্তা ধরে অনেকে যাতায়াত করছেন, খবর পেয়েছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জেলার উপর দিয়ে যাওয়া কোনও পরিযায়ী শ্রমিককেই হেঁটে বা সাইকেলে বাড়ি পৌঁছতে দেওয়া যাবে না। তাঁদের গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, জানিয়েছে পুলিশ।

জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের যে ছবি উঠে আসছে, তা কষ্টের। আমাদের সীমিত সামর্থের মধ্যে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের একটি ঘরে রাখা হচ্ছে। সেখানে জল ও খাবার দেওয়া হচ্ছে। তার পরে গাড়িতে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’’ গত কয়েক দিনে প্রায় সাত-আট হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের দাবি।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে ১০টি ‘ওয়াচ টাওয়ার’ রয়েছে। সেখান থেকে হেঁটে বা সাইকেলে কেউ যাচ্ছেন কি না, নজর রাখা হচ্ছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিযায়ী শ্রমিক বলে নিশ্চিত হলে, কাছাকাছি থানার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, জামালপুর, গলসিতে ‘চেক পোস্ট’ করা হয়েছে। সেখানেও পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে নিভৃতবাস কেন্দ্র বা অস্থায়ী শিবিরে রাখা হচ্ছে। তার পরে তাঁদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, এই নজরদারির খবর জানার পরেই অনেকে বাঁধ, ক্যানালপাড়, অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সে জন্য সেই সব জায়গায় পুলিশকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশের নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে বিহার-ঝাড়খণ্ডের ২৫ জনের একটি দল সাইকেলে হাওড়া থেকে ফিরছিল। তাঁরা দামোদরের বাঁধ ধরে জামালপুরে আসেন। তার পরে ছোট রাস্তা ধরে কাটোয়া রোডে উঠতেই দেওয়ানদিঘির পুলিশ তাঁদের আটকায়। একটি স্কুলে রাখার পরে তাঁদের বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। দেওয়ানদিঘির থানার ওসি সঞ্জয় রায়ের উদ্যোগে এর আগেও ভিন্‌ রাজ্যের ১০ জনের একটি দলকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারে ‘সংবেদনশীল হয়ে কাজ করার জন্য প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। কয়েক দিন আগে বর্ধমানের আঞ্জিরবাগান থেকে এক দম্পতিকে নিয়ে গিয়ে গাংপুরের কোভিড-১৯ (প্রথম ও দ্বিতীয় স্তর) হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ওই দম্পতির করোনা-পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে। তাঁদের ওড়িশার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE