স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল বৃদ্ধের। বুধবার কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের মাখালতোড়ের বাসিন্দা ঠাকুরদাস বিশ্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বৃহস্পতিবার সাজা শোনান কাটোয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (দ্বিতীয়) অনির্বাণ দাস।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জামাইবাবুর বিরুদ্ধে দিদি মমতা বিশ্বাসকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ করেন নদিয়ার কালীগঞ্জের দয়ারামপুরের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ সরকার। তাঁর অভিযোগ, ঘটনার বছর তিরিশ আগে ঠাকুরদাসের সঙ্গে বিয়ে হয় মমতাদেবীর। তাঁদের দুই ছেলে রয়েছে। ওই দিন সকালে বড় ছেলে পরিতোষ বিশ্বাস চাষের কাজে মাঠে যান। বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ফুলন বিশ্বাস। পরিতোষবাবুর দাবি, তিনি ফিরে দেখেন ঘাড়ে-হাতে আঘাত নিয়ে পড়ে রয়েছেন মমতাদেবী। তাঁর অভিযোগ, বাবা-মায়ের অশান্তি চলছিল। প্রায়ই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে ঠাকুরদাস স্ত্রীকে মারধর করতেন বলেও অভিযোগ।
পুলিশ জানায়, সে বছর ২৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। মূল সাক্ষী ছিলেন মৃতার বৌমা, ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী ফুলন বিশ্বাস। মামলা চলাকালীন জামিনে ছিলেন ঠাকুরদাস।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পরিবারের দাবি, ঘটনার পর থেকে নানা আশ্রমে থাকতেন তিনি। এ দিন ঠাকুরদাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক। অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার সরকারি আইনজীবী সরোজ দাস বলেন, ‘‘দৃষ্টান্তমূলক সাজা হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy