Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
tmc

খাবার বিলির লাইনে ভিড়, বাড়ছে চিন্তা

এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, প্রায় আড়াই হাজার মানুষ গাদাগাদি করে খাবার পেতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। খাবার বিতরণের তদারকি করছেন অভিজিৎবাবু।

দীর্ঘ লাইন পড়ল কুলটিতে। নিজস্ব চিত্র

দীর্ঘ লাইন পড়ল কুলটিতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুলটি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২০ ০৭:৩৫
Share: Save:

খাবার বিলি করতে উদ্যোগী হয়েছেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর। সেখানে খাবার পেতে ভিড়ও জমান কয়েক হাজার মানুষ। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার কুলটিতে আয়োজিত ওই উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ববিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। ওই কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্য বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতি হবে বুঝতে পারিনি আমরা।’’ একই পরিস্থিতি এ দিন কুলটির চবকাতেও দেখা গিয়েছে একটি সংগঠনের উদ্যোগে রান্না করা খাবার বিলি করার সময়েও।

এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় প্রশাসনের কর্তা থেকে চিকিৎসকেরা। জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘সরকার করোনা সংক্রান্ত মোকাবিলায় যে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশে দিয়েছে, তা অক্ষরে-অক্ষরে শহরবাসীকে মানতে হবে।’’ আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিও বলেন, ‘‘সঙ্কটের সময়ে মানুষের জন্য মানুষ এগিয়ে আসছেন, এটা অভিনন্দন যোগ্য। তবে সবার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা খুবই জরুরি।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার কুলটির ডিসেরগড়ে ইসিএল-এর স্টেডিয়াম লাগোয়া এলাকায় রান্না করা খাবার বিতরণে উদ্যোগী হয়েছিলেন আসানসোল পুরসভার ১০৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্য। কিন্তু এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, প্রায় আড়াই হাজার মানুষ গাদাগাদি করে খাবার পেতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। খাবার বিতরণের তদারকি করছেন অভিজিৎবাবু। থিকথিকে ভিড় দেখে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেউ কেউ প্রতিবাদও করেছেন। কিন্তু তাতে আয়োজকেরা আমল দেননি বলে অভিযোগ। অভিজিৎবাবুর অবশ্য প্রতিক্রিয়া, ‘‘অভুক্ত মানুষের পেটে ভাত নেই। সকলেই তাই এক সঙ্গে আসছেন। আগামী দিনে অন্য কোনও পদক্ষেপ করা হবে।’’

একই ছবি ধরা পড়েছে কুলটি চবকায় যৌনপল্লিতেও। সেখানে একটি সংগঠনের উদ্যোগে রান্না করা খাবার বিলি করা হয়। দেখা গেল, সেখানেও বিন্দুমাত্র দূরত্ববিধি মেনে চলা হচ্ছে না। কেন এই হাল? সংগঠনের কর্তারা জানান, তাঁরা ভেবেছিলেন তিনশোর বেশি মানুষ আসবেন না। কিন্তু বাস্তবে সাড়ে ছ’শোর বেশি মানুষ এসেছেন। তাই হুড়োহুড়ি হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে আসানসোলের চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্তের প্রস্তাব, ‘‘করোনা-সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তাই রান্না খাবার যাঁরা বিলি করছেন, তাঁরা যদি বাড়ি-বাড়ি খাবার বিলি করতে পারেন, তা হলে ভাল হয়।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kulti Food Delivery TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE