বড়নীলপুর
মাস খানেক আগে বৈঠক করে রাস্তা ‘দখল’ করে পুজোয় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল জেলা পুলিশ। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ‘নিষেধে’ গা নেই অনেকেরই। উদ্যোক্তাদের কেউ বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এ ভাবেই পুজো চলছে। কেউ বলছেন, রাস্তায় না করলে পুজো বন্ধ হয়ে যাবে, পাড়ার মানুষজনও পুজো চান। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পুজোর অনুমোদন দেওয়ার আগে বিভিন্ন এলাকার ডিএসপিদের সরেজমিন ঘুরে দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। মানুষের সমস্যা সত্ত্বেও পুজো করছে এমন উদ্যোক্তাদের অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসন কড়া ভূমিকা নেবে।’’
লাল্টু স্মৃতি সঙ্ঘ, বড়নীলপুর মোড়: ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জিটি রোডের একপাশ ‘দখল’ করে হয় মণ্ডপ। ঠাকুর দেখতে রাতভর জমে ভিড়। গত দু’বছর ধরে রাস্তা সংস্কার ও চওড়া হওয়ায় মণ্ডপের বহর অনেকটাই কমিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তবে এ বছর ওই রাস্তার সার্ভিস রোড দখল করে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। ফলে এখন থেকেই যাতায়াতে সমস্যা দেখা দিয়েছে মানুষের।
উদ্যোক্তাদের বক্তব্য: মানুষের কথা ভেবেই মণ্ডপের বহর কমানো হয়েছে। মূল রাস্তায় মণ্ডপের একটা অংশও যায়নি। ফলে দমকলের গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স আটকে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। উদ্যোক্তাদের তরফে তন্ময় সামন্ত বলেন, “সার্ভিস রোড এখনও চালুই হয়নি। ফলে মানুষের যাতায়াত ওই রাস্তায় নেই।’’
বোরহাট সর্বজনীন: চার দশক ধরে রাস্তাতেই পুজো। ওই রাস্তা দিয়ে কৃষ্ণসায়রে ঘট ভরতে যায় সর্বমঙ্গলা বাড়ি। রাস্তা বেশির ভাগ মণ্ডপে আটকে থাকায় শোভাযাত্রা যেতে সমস্যা হয়। যানজটও হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। তাঁদের দাবি, এক মাস ধরে এক দিকের রাস্তা বন্ধ থাকে। অনেকটা ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। বর্তমানে বাঁশের কাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কাজ শেষ হয়ে গেলে চারমাথা মোড়ের একটা দিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
উদ্যোক্তাদের বক্তব্য: সর্বমঙ্গলা বাড়ির শোভাযাত্রা যাতে সুষ্ঠু ভাবে যেতে পারে তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা সঞ্জয় ঘোষের দাবি, “দীর্ঘ দিনের পুজো। রাস্তা ছাড়া পুজো করার জায়গা নেই। তা ছাড়া অনেকেই তো রাস্তা দখল করে পুজো করছে!”
ঘোড়দৌড়চটি সর্বজনীন: জিটি রোডের এই এলাকায় এত দিন সর্বমিলন সঙ্ঘের পুজো হত। রাস্তা চওড়া হওয়ার কারণে গত বছর থেকে সরে গিয়েছে সে পুজো। পাশের একটি মাঠে হয়েছে তাদের মণ্ডপ। কিন্তু ওই জায়গাতেই রাস্তার বেশ কিছুটা জুড়ে পুজো শুরু করেছে ঘোড়দৌড়চটি সর্বজনীন পুজো কমিটি। বিজেপির যুব নেতা, ছোট নীলপুরের বাসিন্দা শ্যামল রায় পুজো কমিটির সভাপতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জিটি রোডের একটা অংশ দখল করে মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে। বাঁশের কাঠামো তৈরিও প্রায় হয়ে গিয়েছে।
উদ্যোক্তাদের দাবি: শহরের বাদামতলা, কেশবগঞ্জ চটির মতো জায়গাতেও রাস্তা, ফুটপাত দখল করে পুজো হয়। শ্যামলবাবু বলেন, “স্থানীয় মানুষের দাবিকে সম্মান রেখে পুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে আগেও পুজো হয়েছে। এ বারেও নিয়ম মেনে পুজো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy