বননবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাপ। নিজস্ব চিত্র
ওয়ার্ড থেকে আবাসন, আউশগ্রাম ১ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যখন তখন দেখা মিলছে সাপের। স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক থেকে রোগীদের দাবি, আনমনে হাঁটার কোনও উপায় নেই। মেঝেয়, দরজায় কোণে প্রায়ই দেখা যায় বিষধর সাপ। সাপ তাড়ানোর আর্জি নিয়ে বিডিও-র দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা।
বননবগ্রামের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বর্ষা পড়তেই জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় সর্পদষ্ট রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চত্বরেও বেড়ে গিয়েছে সাপের উপদ্রব। স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বর ও লাগোয়া এলাকায় ঝোপজঙ্গল থাকায় সাপ আসছে। অন্ধকারে সাপের গায়েও পা পড়ে যাচ্ছে, দাবি তাঁদের। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য প্রায় ২০টি আবাসন রয়েছে ওই চত্বরে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকও সেখানেই থাকেন। জানা গিয়েছে, ওই সমস্ত আবাসনের ভিতরেও ঢুকে পড়ছে সাপ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক মহম্মদ ইয়াকুব, নার্স সুস্মিতা দাশগুপ্তরা বলেন, “ঘরের মধ্যে যখন তখন সাপ দেখা যাচ্ছে। খুব আতঙ্কে রয়েছি।”
৩০ শয্যাবিশিষ্ট ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহির্বিভাগে ফি দিন শ’পাঁচেক রোগী আসেন। রাতে অনেক রোগীর আত্মীয়েরাও স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরেই থাকেন। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, রাতে ওয়ার্ডে এবং রোগীর পরিজনেদের বসার জায়গাতেও সাপ ঘোরে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ধীমান মণ্ডল বলেন, “এলাকাটি জঙ্গল লাগোয়া হওয়ায় সন্ধের পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে বিষধর সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি সকলের কাছেই খুব আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমস্যার কথা বিডিও এবং বন দফতরে জানানো হয়েছে।”
আউশগ্রাম ১-এর বিডিও চিত্তজিৎ বসুর আশ্বাস, ‘‘সাপের উপদ্রব হচ্ছে বলে শুনেছি। বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বলা হয়েছে।” বন দফতরের দাবি, সাপের আনাগোনা কমানোর তেমন উপায় কিছু নেই। তবে চারিদিক পরিচ্ছন্ন রাখা, নিয়মিত কার্বলিক অ্যাসিড ও ব্লিচিং ছড়ানো হলে সাপের উপদ্রব কমতে পারে, দাবি তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy