নিহত উজ্জ্বলবাবুর মায়ের সঙ্গে বিধায়ক। ছবি: প্রদীপ মুখোপাধ্যায়
বিল্বগ্রামের নিহত তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের এক জনকে মুখ্যমন্ত্রী চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি করলেন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই আশ্বাস দিয়েছেন। কোর কমিটির সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহত বিল্বগ্রাম অঞ্চল সভাপতি উজ্জ্বলের পরিবার থেকে এক জনের বায়োডেটা সুব্রত বক্সীর কাছে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন। বিধায়ক বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বায়োডেটা নিয়ে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেব।’’
গত সপ্তাহে ১৩ জুন সন্ধ্যা আউশগ্রামের বনপাশ স্টেশনের কাছে একটি চায়ের দোকানে গল্প করার সময় উজ্জ্বলকে টেনে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে-কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এলাকার জনপ্রিয় ওই নেতা খুনের জনরোষ ছড়ায়। ঘটনার চার দিন পরে বিধায়ক নিহতের বাড়ি গেলে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। নিহতের পরিবারের তরফে সে দিন বিধায়কের কাছে দাবি করা হয়, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনার জন্য। বায়োডেটা চেয়ে ওই পরিবারের পাশে যে দল রয়েছে, সে বার্তাই মুখ্যমন্ত্রী দিতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভেদানন্দবাবু।
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস প্রসঙ্গে নিহতের অশীতিপর মা অণিমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দোষীদের শাস্তি চাই। আমি যেন তাদের শাস্তি দেখে মরতে পারি!’’ উজ্জ্বলের ভাই সজলের কথায়, “আমাদের পুরো পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। জানি না দিদির (তৃণমূল নেত্রী) কাছে এই রিপোর্ট আছে কিনা।’’
যেখানে উজ্জ্বল খুন হন, তার পাশেই সজলের দোকান। তিনি খুনের প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে থানায় এফআইআর করেছেন। তাতে এক নম্বরে নাম রয়েছে ওই অঞ্চলে তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি জয়দেব মণ্ডলের। সজলের দাবি, অভিযুক্ত অনেকেই নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এক বেলা দোকান চালিয়ে নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাড়ি চলে আসেন। বর্ধমানের পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ জন ধরা পড়েছে। তল্লাশি চলছে। খুব শীঘ্রই বাকি অভিযুক্তেরাও ধরা পড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy