Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষক নেই, বিপাকে স্কুল

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি দক্ষিণপাড়ায় বছর ছয়েক আগে তৈরি হয়েছিল স্কুলটি। পরিকাঠামো গড়ে উঠলেও কোনও স্থানীয় শিক্ষক নিয়োগ হননি।

গঙ্গাটিকুরি জুনিয়র হাইস্কুলের ভবন। নিজস্ব চিত্র

গঙ্গাটিকুরি জুনিয়র হাইস্কুলের ভবন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯ ০০:১০
Share: Save:

ঘর আছে, পড়ুয়াও আছে। কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে কেতুগ্রামের জুনিয়র হাইস্কুল। ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে সম্প্রতি কাটোয়া মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি দক্ষিণপাড়ায় বছর ছয়েক আগে তৈরি হয়েছিল স্কুলটি। পরিকাঠামো গড়ে উঠলেও কোনও স্থানীয় শিক্ষক নিয়োগ হননি। অবসরপ্রাপ্ত দু’জন শিক্ষক বর্তমানে অতিথি শিক্ষক হিসাবে পড়াচ্ছেন। অভিভাবকদের দাবি, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ৯৭ জন পড়ুয়ার জন্য দু’জন শিক্ষক যথেষ্ট নয়। স্কুল সূত্রে জানা যায়, গত শিক্ষাবর্ষে ওই গ্রামের ৬০ ছাত্রী ভর্তি হয় গঙ্গাটিকুরি অতীন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দিরে। মাসখানেক ক্লাস চলার পরে তাদের গঙ্গাটিকুরি জুনিয়র হাইস্কুলে নতুন করে ভর্তি হতে বলা হয়। প্রশাসনের সহযোগিতায় স্কুলের সিদ্ধান্ত মেনে মেয়েদের নতুন জায়গায় ভর্তি করান অভিভাবকেরা। তবে স্কুল খোলা থাকলেও পঠনপাঠন তেমন হয় না, দাবি অভিভাবকদের। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘অতীন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দির আমাদের বোঝাল, গত বছর থেকে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ছাত্রীদের ভর্তি করবে না। ওই স্কুলেই পড়বে পড়ুয়ারা। এখন মনে হচ্ছে, স্কুল না ছাড়ালেই ভাল হত।’’

স্থানীয় মহাবীর মণ্ডল, সাগর পাল, সুমন্ত লাহাদের অভিযোগ, দু’জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের কেউই ইংরেজি ক্লাস নেন না। এক জন বিজ্ঞান ও অন্য জন বাংলা পড়ান। এতে মেয়েদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগেও এই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পড়ুয়া অঙ্কিতা লাহা, শুক্লা মণ্ডলরা বলে, ‘‘স্কুলে খেলার মাঠ নেই। গেটের সামনে সারা বছর জল দাঁড়িয়ে থাকে।’’ স্কুলে সীমনা পাঁচিল না থাকায় নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বলেও দাবি অভিভাবকদের।

জুনিয়র হাইস্কুলের দুই অতিথি শিক্ষক সমরেশগোপাল ঘোষ ও উত্তমকুমার দত্ত বলেন, ‘‘স্কুলটি চালু করার জন্য ছাত্রীদের ভর্তি করা হয়েছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুল শিক্ষা দফতর জানানো হয়েছে।’’ অতীন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দিরের টিচার-ইন-চার্জ লক্ষ্মণদাস বৈরাগ্যর দাবি, ‘‘আমাদের স্কুলটি পুরনো। ফলে এখানে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা বেশি। কিন্তু নতুন স্কুলটিও চালু করতে হবে। তাই পরিচালন কমিটি ওই সিদ্ধান্ত নেয়।’’

কেতুগ্রামের এসআই কুন্তল দত্তের আশ্বাস, ‘‘দিন পনেরোর মধ্যেই এক জন শিক্ষক পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।’’ তাঁর দাবি, স্কুলটি চালু রাখতে গেলে পড়ুয়াদের ভর্তি করানো জরুরি। সবাই অতীন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দিরেই ভর্তি হলে জুনিয়র হাইস্কুলটি চালুই হবে না। মহকুমাশাসক সৌমেন পালেরও আশ্বাস, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Education School Teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE