আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন।
দলের ‘৪১ শতাংশ’ প্রার্থী মহিলা, সেই প্রসঙ্গটি প্রার্থী ঘোষণার দিনেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে এসে জামুড়িয়ায় সেই প্রসঙ্গটি উস্কে দিয়ে মহিলা ভোটারদের সমর্থন চাইলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন।
বুধবার জামুড়িয়ার আরএন কলোনির প্রেক্ষাগৃহে এক কর্মিসভায় মুনমুন বলেন, ‘‘দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যায় মহিলা প্রার্থী দিয়েছেন। দিদি উন্নয়নের কাজে যে ভাবে মহিলাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন তাতে মহিলাদের তাঁর পাশে দাঁড়ানো উচিত।’’
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, প্রার্থী তালিকায় মহিলাদের সংখ্যা ৩৫ থেকে বাড়িয়ে ৪১ শতাংশ করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত নির্বাচনে বিজয়ী দুই মহিলা সাংসদকে বাদ দিলেও এ বার চার নতুন মুখ এনেছেন তিনি। দলের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের সময়ে মহিলা প্রার্থীদের কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘আপনাদের যখন এ কথা বলছি তখন আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।’’ দেশের অন্য কোথাও কোনও দলের এত সংখ্যক মহিলা প্রার্থী দেওয়ার নজির নেই বলে দাবি করেছিল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘‘অনেকে সংরক্ষণের সময় ৩৩ শতাংশের কথা বলেন। আমাদের তা বলতে হয় না।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূলের দাবি, এ দিন জামুড়িয়ার সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল নজরে পড়ার মতো। উলুধ্বনি, ফুল দিয়ে প্রার্থীকে স্বাগত জানানো, বাদ ছিল না কিছুই। প্রতিমা মণ্ডল নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘বাড়িতে পুজো করেই মুনমুন দি’কে একবার দেখার জন্য এসেছি।’’
যদিও মুনমুনের এই মন্তব্যকে বিঁধতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সন্তোষ সিংহের বক্তব্য, ‘‘রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের মুখে এ সব কথা মানায় না।’’ সিপিএম প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘মহিলাদের নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা, স্বনির্ভরতা-সহ সব ক্ষেত্রেই তৃণমূলের সরকার ব্যর্থ। তাই এলাকার মহিলারা জানেন তৃণমূল প্রার্থী মোটেই ঠিক কথা বলছেন না।’’ যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্প-সহ নানা ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীরা অপপ্রচার করছেন।’’
এ দিনের সভায় প্রচার-কৌশল নিয়েও আলোচনা করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ভি শিবদাসন জানান, এলাকায় স্বচ্ছমুখ হিসেবে পরিচিত, এমন নেতাদেরই বাড়ি বাড়ি প্রচারে যেতে হবে। সেই সঙ্গে মুনমুন এই কেন্দ্র থেকে জয় পেলে এলাকার জল-সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানান তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।
এ দিন মুনমুনের সমর্থনে রানিগঞ্জের চাপুই কোলিয়ারি, রতিবাটি লাগোয়া এলাকায় মিছিল করে তৃণমূল। সেখানে যোগ দেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি, রানিগঞ্জ পঞ্চায়েতের সভাপতি বিনোদ নুনিয়া প্রমুখ, তৃণমূলের নেতা বাবু রায় প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy