Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

দলবদল ঘিরে তর্জা তৃণমূল, বিজেপিতে

প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা বলেন, ‘‘এত ছোট জায়গা থেকে এক সঙ্গে এত জন বিজেপি ছেড়ে আমাদের দলে যোগ দিলেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, যত দিন যাচ্ছে আরও মজবুত হচ্ছে তৃণমূল।’’

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪৯
Share: Save:

ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই প্রচারের ঝাঁঝ বাড়ছে। শুক্রবার সকালে কাঁকসার শিবপুর এলাকায় প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা। বিকেলে তিনি দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোড-শো ও পদযাত্রা করেন। বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এ দিন সন্ধ্যায় রোড-শো করেন জেমুয়া, পরাণগঞ্জ, কালীগঞ্জ, শঙ্করপুর প্রভৃতি এলাকায়।

সকালে তৃণমূল প্রার্থীর উপস্থিতিতে শিবপুর এলাকায় ৭২ জন কর্মী-সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেন তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়। তিনি নিজেও ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা বলেন, ‘‘এত ছোট জায়গা থেকে এক সঙ্গে এত জন বিজেপি ছেড়ে আমাদের দলে যোগ দিলেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, যত দিন যাচ্ছে আরও মজবুত হচ্ছে তৃণমূল।’’ কাঁকসার বিজেপি নেতা মানস তিওয়ারির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল দিন শেষ। তাই তৃণমূল টাকার লোভ দেখিয়ে ও নানা ভাবে চাপ দিয়ে আমাদের দলের অনেককে তাদের দলে যোগ দিতে বাধ্য করছে। এতে মানুষের মন বদলাবে না।’’

তৃণমূলের আর এক প্রার্থী মুনমুন সেনকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন রোড-শো করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বর্ধমান জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। এ দিন বিকেলে বারাবনি ব্লকের গিরমিট থেকে দোমহানি পর্যন্ত রোড-শো হয়। প্রার্থী ও মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় ও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা শহরের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। রোড-শো করার আগে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে সকালে মন্ত্রী প্রথমে আসানসোলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে সীতারামপুর স্টেশন রোড এলাকায় যান। সেখানে সদ্য তৈরি একটি হনুমান মন্দিরের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা এখানে সবাই মিলেমিশে বসবাস করি। কোনও রকম প্ররোচনায় না পড়ে আগামী দিনেও আমরা এক সঙ্গে থাকব।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এর পরে মন্ত্রী কুলটি ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে একই অনুষ্ঠানে যোগ দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষ করে মন্ত্রী সদলবলে ডিসেরগড়ে ছিন্নমস্তার মন্দিরে পুজো দিতে যান। মুনমুন সেনের সমর্থনে ইসিএলের নর্থজামবাদ কোলিয়ারি এলাকায় নির্বাচনী সভা করল কেকেএসসি। বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হরেরাম সিংহ প্রমুখ। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে কুলটি স্টেশন রোডে দলের এক কাউন্সিলরের বাড়িতে সাংগঠনিক সভা হয়। অরূপবাবু ছাড়াও এলাকার বিধায়ক, কুলটির ২৭ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি-সহ গণসংগঠনগুলির ব্লক সভাপতিদেরও ডাকা হয়েছিল। বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অরূপবাবু আমাদের কিছু স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা অক্ষরে অক্ষরে সেই নির্দেশ পালন করব।’’ এ ছাড়াও শুক্রবার সিহারসোলে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী প্রচার করেন। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী ও বিধায়ক রুনু দত্ত। সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের সগরভাঙা গোলপার্কের কাছে সভা করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। রাজ্য ও কেন্দ্রীয়, দুই সরকারেরই সমালোচনা করেন। শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে ভরসা না করে রায়গঞ্জে যে ভাবে মহম্মদ সেলিম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন সে ভাবেই বাকি দফার নির্বাচনগুলিতে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার ডাক দেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 TMC BJP Verbal Spat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE