কালনায় দলের প্রার্থীর সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় এসে এ রাজ্যকে বারবার উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে তুলনা করলেন যোগী আদিত্যনাথ। সঙ্গে টানা আক্রমণ করে গেলেন কংগ্রেস, তৃণমূল ও কমিউনিস্টদের। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ কালনার ধাত্রীগ্রাম ফুটবল মাঠে তাঁর সভা শুরু হয়। হাজার পাঁচেক লোক হয়েছিল বলে দাবি পুলিশ সূত্রের। তবে মাঠে কোনও ছাউনি না থাকায় রোদে-গরমে ক্ষোভ জানাতে দেখা যায় অনেককে।
বাংলাকে ‘জ্ঞান ও সংস্কৃতির ভূমি’ বলে বক্তব্য শুরু করেন যোগী। কংগ্রেস, তৃণমূল ও কমিউনিস্টদের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করার ডাক দেন। এ রাজ্যে দুর্গাপুজোয় বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘উত্তরপ্রদেশে দুর্গাপুজোর মিছিল বেরিয়েছে, মহরমেরও মিছিল বেরিয়েছে। এখানে হাইকোর্টের নির্দেশের পরে দুর্গাপুজো করতে দিয়েছে তৃণমূল সরকার।’’ তৃণমূল যখন ইউপিএ সরকারের সঙ্গে ছিল তখন এখানে নকশাল, আতঙ্কবাদীদের ঘাঁটি ছিল বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। সঙ্গে এ রাজ্যে ‘গুন্ডা-ট্যাক্স’ দিতে হয় বলেও তাঁর দাবি। যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘এখানে গুন্ডা ট্যাক্স দিতে হয় বলে শুনিনি, বরং সিপিএমের আমলে দিতে হত। তৃণমূল তার বিরুদ্ধে লড়েছে।’’ প্রচারে আসে পুলওয়ামা হামলা প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘পুলওয়ামায় সেনাদের উপর হামলায় প্রত্যাঘাত করেছে মোদী সরকার। কিন্তু শহিদদের বলিদান নিয়ে তা প্রশ্ন করছে কংগ্রেস, তৃণমূল ও কমিউনিস্ট।’’
উত্তরপ্রদেশে মানুষ কী কী সরকারি সুবিধা পেয়েছেন তার খতিয়ানও দেন যোগী। জানান মুদ্রা যোজনা, বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ, উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনার কথা। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাসের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘উনি শিক্ষিত মানুষ। প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘদিন মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ওঁকে ভোটে জেতান।’’
তৃণমূলের স্বপনবাবুর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘আগে উত্তরপ্রদেশে উন্নয়ন করুক, তার পরে বাংলা নিয়ে ভাববে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy