Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus Lockdown

‘লকডাউন’-এ হাল খারাপ রাস্তার, আলোচনা বৈঠকে

মহকুমাশাসক জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০-র নভেম্বরের মধ্যে ছাতনি থেকে বিদ্যানগর পর্যন্ত প্রথম দফার কাজ শুরু হবে।

এমনই অবস্থা এসটিকেকে রোডের। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল

এমনই অবস্থা এসটিকেকে রোডের। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা
পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২০ ০০:৩৫
Share: Save:

অল্প বৃষ্টি হলেই বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে গর্তে ভরা এসটিটিকেকে রোড। নানা জায়গায় বিকল হয়ে যাচ্ছে যানবাহন। খন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে লাগছে অনেক সময়। এই পরিস্থিতিতে রাস্তাটির সম্প্রসারণের কাজের পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠক হল পূর্বস্থলীতে।

এ দিন বৈঠকে পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মহকুমাশাসক (কালনা) সুমনসৌরভ মোহান্তি ছাড়াও ছিলেন পূর্বস্থলী ১ ব্লক প্রশাসন, পূর্ত দফতর এবং রাস্তার কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার প্রতিনিধিরা। বৈঠকে মন্ত্রী জানান, আগে তাঁর বর্ধমানে যেতে সময় লাগত প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট। সেখানে এখন লাগছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। বেশ কিছু ব্যবসায়ী রাস্তার পাশে জিনিসপত্র রাখেন। তা থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

মহকুমাশাসক জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০-র নভেম্বরের মধ্যে ছাতনি থেকে বিদ্যানগর পর্যন্ত প্রথম দফার কাজ শুরু হবে। গুপ্তিপাড়া থেকে ধাত্রীগ্রাম পর্যন্ত রাস্তার কাজও এগোন হবে। ২০২১-এর জানুয়ারিতে বিদ্যানগর থেকে নাদনঘাট মোড় পর্যন্ত প্রথম দফার কাজ শুরু হয়ে যাবে। একই সঙ্গে কাজ চলবে ধাত্রীগ্রাম থেকে নাদনঘাট পর্যন্ত এলাকায়। সে বছর ৩১ মার্চের মধ্যে ছাতনি থেকে বিদ্যানগর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা, গুপ্তিপাড়া থেকে ধাত্রীগ্রাম পর্যন্ত এবং ধাত্রীগ্রাম থেকে নাদনঘাট পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার কাজ শেষ হবে।

পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ছ’কিলোমিটার নিকাশি নালা তৈরি করতে হবে। সে জন্য নানা জায়গায় দখলদারদের তুলতে হবে। এক সময়ে দখলদার তোলার কাজ শুরু হলেও এখন তা হচ্ছে না।’’ এই কাজ শুরু করতে গিয়ে কোনও সমস্যা হলে প্রশাসনের নজরে আনা হবে বলে জানান তিনি। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, এ ব্যাপারে কোথাও কোনও সমস্যা হবে না।

বৈঠকে হাজির আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এসটিকেকে রোডের এমন খারাপ অবস্থার কারণ হিসাবে ‘লকডাউন’ চলাকালীন প্রায় আড়াই মাস কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টিকেই দায়ী করা হয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, রাস্তার কাজে ভিন্ রাজ্যের বহু দক্ষ শ্রমিকও যুক্ত থাকেন। ‘লকডাউন’ চলাকালীন তাঁরা বাড়ি চলে যান। তাঁরা ফিরে আসার পরে জোরকদমে কাজ শুরু করা হয়েছে। পূর্ত দফতরের কর্তারা জানান, রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার পরে তিন বছর কোনও সমস্যা হলে নির্মাণকারী সংস্থাই দেখভাল করবে।

বৈঠক শেষে মহকুমাশাসক বলেন, ২০২১ সালের জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। বৈঠকে কাজের গতি বাড়ানো, রাস্তার নানা জায়গায় গর্ত বোজানো এবং নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য নালা তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE