২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামপ্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। পরিষদীয় সচিবও হয়েছিলেন। কিন্তু আদালতে রায়ে বাকিদের সঙ্গে তাঁরও চাকরি যায়। এ বার তাঁকেই জেলা পরিষদে ‘মেন্টর’ পদে ফিরিয়ে আনা হল।
তিনি হলেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দা, জামালপুরের প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিক। পূর্ব বর্ধমান জেলায় সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতির মাথায় মেন্টর হিসেবে তাঁকে বসাল রাজ্য সরকার। ডেপুটি মেন্টর হয়েছেন মেমারির প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুল হাসেম মণ্ডল। জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘বিধানসভায় হেরে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিলেন উজ্জ্বলবাবু। দলের নেতৃত্ব তাঁকে রাজনৈতিক পুনর্বাসন দিল বলা যায়। একই কথা প্রযোজ্য মেমারির প্রাক্তন বিধায়কের ক্ষেত্রেও।’’
সপ্তাহ দু’য়েক আগে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব দিব্যেন্দু দাস জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশ জানান। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক তথা জেলা পরিষদের এগজিকিউটিভ অফিসার অনুরাগ শ্রীবাস্তব ওই চিঠির সূত্র ধরে মেন্টর হিসেবে উজ্জ্বলবাবু ও ডেপুটি মেয়র হিসেবে আব্দুল হাসেম মণ্ডলকে নিয়োগপত্র দেন। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, মেন্টররা প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ও এলাকায় ঘোরার জন্যে গাড়ি পাবেন। আর ডেপুটি মেন্টররা মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। জেলা পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজ পর্যালোচনা করা, কাজের সমন্বয় সাধন এবং জেলা পরিষদের সদস্যদের পরামর্শ দেওয়াই তাঁদের মূল দায়িত্ব।
উজ্জ্বলবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে নির্বাচিত করেছেন। মানুষের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সবার সঙ্গে সমন্বয় রেখে সকলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করাই আমার লক্ষ্য।’’ জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি দেবু টুডু বলেন, “জেলা পরিষদ ভবনেই মেন্টর ও ডেপুটি মেন্টরের জন্যে দুটি ঘর তৈরি করা হচ্ছে।’’য়া পঞ্চায়েতে এই কমিটি গঠিত হয়। উপপ্রধান অজিত মণ্ডল জানান, স্বাস্থ্যকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি তৈরি হয়েছে। প্রতিটি গ্রামেও এই কমিটি করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy