Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

ব্লক স্তরে শুরু ‘র‌্যাপিড টেস্ট’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘আরটি-পিসিআর’ পরীক্ষা সময়সাপেক্ষ হওয়ার কারণে সংক্রমণ ছড়ানোর সুযোগ থেকে যাচ্ছে, এমন আশঙ্কা করলে ‘র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট’ করা দরকার।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২০ ০১:০২
Share: Save:

জেলায় দৈনিক করোনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার। সেখানে বুধবার পরীক্ষা হয়েছিল ৪৬৪টি নমুনা। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালেই রাজ্য থেকে বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। এর পরেই বিকেলে অনলাইনে বৈঠক করেন জেলার কর্তারা। প্রশাসন সূত্রের খবর, এ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি নমুনা সংগ্রহ করে, পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী এ দিন বলেন, ‘‘করোনা-পরীক্ষা বাড়াতেই হবে। বুধবার রাতেই ‘র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট’ কিট আমাদের কাছে এসেছে।’’ জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাত পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানে ৪৬,০৯৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪৪,২৩২টি পরীক্ষা করা হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া, ‘নাইসেড’ এবং এনআরএস হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। সময়মতো সে সব নমুনা পরীক্ষা না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো যাচ্ছে না বলে দাবি প্রশাসনের একাংশের। কর্তারা জানান, এই পরিস্থিতিতে ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট’ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৫ দিনের জন্য ৫,৩০০ ‘র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট’ কিট চাওয়া হয়েছিল। বুধবার রাতে তিন হাজার ‘র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট’ কিট এসেছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কাটোয়া এবং কালনা মহকুমা হাসপাতালে আগেই ‘র্যাপিড টেস্ট’ শুরু হয়েছিল। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার থেকে ব্লক স্তরেও ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট’ শুরু হয়েছে। বুধবারই এ নিয়ে ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বিশদে আলোচনা হয়েছে। কোনও জায়গায় লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়নি। যত বেশি সম্ভব অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করাতে চাইছি।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন অনলাইন-বৈঠকে প্রস্তাব উঠেছে, বর্ধমান শহরের উল্লাস বাসস্ট্যান্ডে পাকাপাকি ভাবে নমুনা পরীক্ষার কেন্দ্র খোলা হবে। সেখানে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনা থেকে আসা যাত্রীদের লালারস ও নাকের গ্রন্থিরসের নমুনা নিয়ে ‘র‌্যাপিড টেস্ট’ করে আধ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। জেলাশাসক জানান, এ ব্যাপারে এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক প্রস্ত আলোচনাও হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘আরটি-পিসিআর’ পরীক্ষা সময়সাপেক্ষ হওয়ার কারণে সংক্রমণ ছড়ানোর সুযোগ থেকে যাচ্ছে, এমন আশঙ্কা করলে ‘র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট’ করা দরকার। জেলার এক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘বেশি হারে পরীক্ষা করতে হলে ‘র‌্যাপিড টেস্ট’-এর সাহায্য নিতেই হবে। আমাদের কাছেও কিট এসেছে, পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে অনেক সময়ে ভুল করে ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট আসে। তাই প্রয়োজনে উপসর্গ থাকা রোগীদের থেকে ফের নমুনা নিয়ে ‘আরটি-পিসিআর’ যন্ত্রে পরীক্ষা করানো হবে।’’

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE