কটোয়া পুরসভা।
ভোটের আগেই মারা গিয়েছেন কর্মী। অথচ ভোটের ‘ডিউটি’ না করায় তাঁর নামেই বার বার আসছে শো-কজ়ের নোটিস। এমনকি, জেলা প্রশাসনের কাছে হাজির না হলে ওই পুরকর্মীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এমন ঘটনায় তাজ্জব কাটোয়ার পুরসভার অন্য কর্মীরা।
পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘আমরা বার বার জেলা নির্বাচন অফিসারকে চিঠি এবং মৃতের শংসাপত্র দিয়ে জানিয়েছি ওই ব্যক্তি ভোটের আগেই মারা গিয়েছেন। তা ছাড়া ভোটের জন্য ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে যে টাকা এসেছিল তাও জমা দিয়েছি। কিন্তু তার পরেও বারবার শো-কজ়ের চিঠি আসছে ওই ব্যক্তির নামে।’’
কাটোয়া পুরসভার মজদুর বিভাগের কর্মী ছিলেন শহরের গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা দেবাশিস ঘোষ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরের ১২ মার্চ মারা যান তিনি। এর কিছুদিন পরে দেবাশিসবাবু-সহ কাটোয়া পুরসভার ১৯ জন কর্মীর নামে লোকসভা ভোটের ডিউটির চিঠি আসে। জেলার নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে দেবাশিসবাবুকে তৃতীয় পোলিং অফিসার হিসাবে নিযুক্ত করার কথা জানানো হয়। পুরসভার দাবি, এর পরেই এগজিকিউটিভ অফিসার নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন ওই কর্মী মারা গিয়েছেন। তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথাও জানানো হয়।
পুরসভার দাবি, বার বার চিঠি দিয়ে জানানো পরেও মৃত কর্মীর নামে ভোটের প্রশিক্ষণের চিঠি, কোথায় তাঁকে তৃতীয় পোলিং অফিসার হিসাবে কাজে যোগ দিতে হবে তার চিঠি আসছিল। এ বার ডিউটি না করার জন্য জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে আগামী ৩১ জুলাই সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মৃত কর্মীকে। পুরসভার আপার ডিভিশনের এক কর্মী চন্দ্রচূড় দত্ত বলেন, ‘‘চার থেকে পাঁচ বার ওই কর্মীর নামে শো-কজ়ের চিঠি এসেছে। প্রতিবারই আমরা জানিয়ে দিয়েছি, উনি মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর শংসাপত্রও দিয়েছি। তার পরেও চিঠি আসছেই।’’
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেকেই ভোটের ডিউটি করেননি। আবার টাকাও জমা দেননি। তাঁদের শো-কজ়ের চিঠি পাঠানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও কোনও ভাবে সেটাই হয়েছে। কাটোয়ার মহকুমাশাসক সৌমেন পাল বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানাব।’’
অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম নিয়োগী বলেন, ‘‘পুরসভা থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল তার ভিত্তিতেই চিঠি যাচ্ছে। ওই কর্মীর মৃত্যুর খবর আমাদের জানা নেই। পুরসভার থেকে ঠিকমতো নথি পেলে চিঠি যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy