বৈঠকে মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।
এখনও এক বছর দেরি পঞ্চায়েত নির্বাচনের। কিন্তু তার আগেই পঞ্চায়েত-ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত দলের নেতা-কর্মীদের ‘রিপোর্ট কার্ড’ তৈরির কাজে নেমে পড়ল তৃণমূল। সেই রিপোর্ট দেখেই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা, শুদ্ধিকরণ করা হবে বলে জানালেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ। এমন পদক্ষেপে আখেরে দলের ঘর গোছানোরই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের ধারণা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলার গ্রামীণ এলাকার ২২টি ব্লকেই পঞ্চায়েতের সদস্য, কর্মাধ্যক্ষ, প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং দলের ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি ও বুথ সভাপতিদের বৈঠক হবে। সম্প্রতি কালনা ১, পূর্বস্থলী ১, বর্ধমান ১ ও ২, মেমারি ২ ব্লকে বৈঠক হয়েছে। শনিবার বৈঠক হয়েছে মন্তেশ্বর ও কালনা ২ ব্লকে। সব কটি বৈঠকেই ছিলেন মন্ত্রী স্বপনবাবু। কালনা ১ ব্লকের বৈঠকটি থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত দলের নেতাদের রিপোর্ট কার্ড তৈরি হচ্ছে। রিপোর্টে কোনও নেতার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ, দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে, তাঁর জন্য এ বার ভাল কিছু হবে না। তাঁকে প্রার্থীও করা হবে না।’’
তবে সাত তাড়াতাড়ি এমন ‘রিপোর্ট কার্ড’ তৈরি হবে কেন? তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের মতে, প্রথমত, কালনা-সহ জেলার বেশ কিছু জায়গায় দলের নেতাদের গোষ্ঠী-কোন্দলে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। দ্বিতীয়ত, পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত নেতা-কর্মীদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই। যেমন, সম্প্রতি কেতুগ্রামে শৌচাগার নির্মাণের কাজ নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে একটি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। তৃতীয়ত, বেশ কিছু জায়গায় পঞ্চায়েতের জনসংযোগে ঘাটতি রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল কর্মীদের একাংশের।
এই সমস্ত অভিযোগ থাকলে, তাঁদের প্রার্থীও করা হবে না বলে বৈঠকে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তবে এক দিকে মন্ত্রী যখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলছেন, তখন সেই বৈঠকেই দেখা মেলেনি বেগপুর, সুলতানপুর এলাকার নেতা-কর্মীদের। তা নিয়ে খানিক বিতর্কও হয় বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
বৈঠকে মন্ত্রী বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরারও পরামর্শ দেন পঞ্চায়েত স্তরের নেতা-কর্মীদের। তা ছাড়া এ দিন মন্তেশ্বরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রতিটি সংসদে একটি কমিটি তৈরি হবে। সংসদগুলি নিয়মিত বৈঠক করবে। মানুষ কোনও পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলে তা সংশোধনেরও নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy