আইপিএলের ট্রফি। — ফাইল চিত্র।
চোটের জন্য আইপিএল থেকেই ছিটকে গেলেন মায়াঙ্ক যাদব। লখনউ সুপার জায়ান্টসের তরুণ জোরে বোলার আর খেলতে পারবেন না এ বার। ১৫৭ কিলোমিটার গতিতে বল করে নজর কেড়েছিলেন তিনি। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ তাঁকে আইপিএলের ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ নাম দিয়েছিলেন গতির জন্য।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন মায়াঙ্ক। তার পর থেকেই মাঠের বাইরে ছিলেন দিল্লির ক্রিকেটার। খেলতে পারেননি শেষ পাঁচটি ম্যাচ। শনিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন লখনউ কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়েছেন, এ বারের আইপিএলে তাঁরা আর মায়াঙ্ককে পাবেন না।
প্রথম দুই ম্যাচে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছিলেন মায়াঙ্ক। নজর কেড়েছিলেন ধারাবাহিক ভাবে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ তাঁকে টেস্ট দলে নেওয়া উচিত বলেও জানিয়েছিলেন। সেই বোলারকেই আর আইপিএলে পাবেন না লোকেশ রাহুলেরা। এই খবর রবিবার স্বস্তি দিতে পারে শ্রেয়স আয়ারদের। এ দিনই লখনউয়ের একনা স্টেডিয়ামে লখনউয়ের মুখোমুখি হবে কলকাতা।
পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মায়াঙ্কের পুরনো চোটের জায়গায় পেশিতে নতুন করে আঘাত লেগেছে। পেশির কিছু অংশ ছিঁড়ে গিয়েছে। ল্যাঙ্গার বলেছেন, ‘‘আইপিএল শেষ হওয়ার আগে মায়াঙ্কের পক্ষে ফিট হয়ে মাঠে ফেরা সম্ভব নয়। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ওর এবং আমাদের দলের জন্য। জোরে বোলারদের ক্ষেত্রে এই ধরনের চোট স্বাভাবিক। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি ২৫-২৬ বছর বয়সের জোরে বোলারদের মধ্যে চোট লাগার প্রবণতা একটু বেশি। মুম্বই ম্যাচের পর চোট নিয়ে মায়াঙ্ক নিজেই যশপ্রীত বুমরার সঙ্গে কথা বলেছিল। কী করা উচিত জানতে চেয়েছিল। আমরা ওর ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকব। নিঃসন্দেহে মায়াঙ্ক অত্যন্ত প্রতিভাবান ক্রিকেটার।’’
গত ৩০ এপ্রিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে অনেকটাই ফিট হয়ে গিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। চোটের জায়গায় ব্যথা ছিল না তাঁর। ম্যাচের আগের দিন নেটে বলও করেছিলেন। তার পরে আবার যন্ত্রণা শুরু হয় মায়াঙ্কের। চিকিৎসকেরা তাঁকে সম্পূর্ণ ফিট হয়ে মাঠে নামার পরামর্শ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy