তৃণমূলের এই অফিসে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
কলকাতায় দলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে বুদবুদের সূর্যসেন পল্লি এলাকায় উপপ্রধান রুদ্রপ্রসাদ কুণ্ডু এবং বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মী জখম হন বলে অভিযোগ। তাঁদের গলসি ১ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। বিজেপির অবশ্য পাল্টা দাবি, উপপ্রধানই তাঁদের এক কর্মীকে মারধর করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। তৃণমূলের দাবি, ওই এলাকা থেকে দলের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক সে দিন ধর্মতলায় সমাবেশে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। রাতে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। অভিযোগ, তখনই এলাকারই কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক ওই তৃণমূল কর্মীদের হুমকি দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মী গৌতম বিশ্বাসকে মারধর করেন উপপ্রধান রুদ্রপ্রসাদবাবু-সহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গৌতমবাবুকে মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোমবার সকালে ফের তেতে ওঠে এলাকা। তৃণমূলের অভিযোগ, এ দিন সকালে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মী উপপ্রধানের বাড়ির সামনে জড়ো হন। লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে উপপ্রধান ও আরও কয়েকজনের উপর চড়াও হন তাঁরা। উপপ্রধানের ভাই দীপঙ্কর কুণ্ডু জানান, তাঁর দাদাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলার হাত থেকে রেহাই পাননি এলাকার মহিলারাও। বেশ কয়েকজন মহিলা আহত হন।
অশান্তির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, বুদবুদ থানার পাশে দলের একটি কার্যালয়ও ভাঙচুর করেছেন বিজেপির কর্মীরা। সেখান থেকে পুলিশ তিন বিজেপি কর্মীকে আটকও করে। তৃণমূলের গলসি ১ ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের অভিযোগ, ‘‘বিজেপি এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করছে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলনে নামব।’’
বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের নেতা সহদেব রায় পাল্টা দাবি করেন, উপপ্রধান এলাকায় অশান্তি তৈরি করছেন। রবিবার রাতে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। সোমবারের ঘটনা নিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘এর সঙ্গে বিজেপি জড়িত নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’ পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় টহলদারি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy