Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
বর্ধমানে ব্লাড ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে নালিশ

পাঁচ ঘণ্টা পরে মিলল রক্ত

ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক রক্ত দিতে দেরি করায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বুধবার হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নদিয়ার ওই পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক রক্ত দিতে দেরি করায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বুধবার হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নদিয়ার ওই পরিবার। হাসপাতালের যদিও দাবি, রোগীর পরিজনেরা সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় সমস্যা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর চারটে নাগাদ কালীগঞ্জ থানার মাটিয়ারির বাসিন্দা জয়দেব হাজরা ( ৬১) কাটোয়া থেকে রেফার হয়ে বর্ধমান আসেন। তাঁর কাশির সঙ্গে রক্ত উঠছিল। হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডে ভর্তির পরে ওই বৃদ্ধের পরিজনেদের রক্ত আনার কথা বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। মৃতের ভাইপো সুবীর হাজরার অভিযোগ, রক্তের ‘রিকুইজিশন স্লিপ’ নিয়ে সকাল ৬টা নাগাদ হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে আসেন তিনি। কিন্তু ওখানকার চিকিৎসক কোনও গুরুত্ব দেননি। এমনকী, রাধারানি ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসক নিজে এসে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের প্রয়োজনের কথা জানানোর পরেও কর্তব্যরত ডাক্তার তাতে কান দেননি বলে অভিযোগ। ওই পরিবারের দাবি, সকাল ছ’টায় রক্তের প্রয়োজন জানিয়ে চিরকূট ও নমুনা জমা দেওয়া হলেও রক্ত মেলে বেনা ১১টার পরে। রক্ত নিয়ে ওয়ার্ডে ফিরে দেখা যায়, জয়দেববাবুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, এক ইউনিট ‘এ পজিটিভ’ রক্তের জন্য পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হল। রক্ত আগে পেলে হয়তো বেঁচে যেতেন রোগী।

মৃতের পরিজন, সুবীর হাজরা, মানব দে-দের অভিযোগ, ‘‘সকালে স্লিপ দেওয়ার সময় থেকেই ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার বিষয়টিকে কোনও গুরুত্ব দেননি। ডাক্তারবাবু এসে অনুরোধ করলেও কান দেননি। উনি একটু উদ্যোগী হলেই রোগীকে বাঁচানো যেত।’’ মৃত জয়দেববাবুর ছেলে প্রশান্ত হাজরা বলেন, ‘‘বাবা ভর্তি হওয়ার পর থেকেই রক্তের জন্য ছোটাছুটি শুরু করি। আমাদের কাছে রক্তদাতাও ছিলেন। কিন্তু ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক কোনও পদক্ষেপ করেনি।’’ এরপরেই সুপারের কাছে এই বিষয়ে সঠিক তদন্তের দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেন তাঁরা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রক্তের প্রয়োজন জানিয়ে নথি জমা দেওয়ার পর রক্তদাতা জোগাড় করা ও ডাক্তারের কাছ থেকে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য আনতে রোগীর পরিজনেরা প্রায় আড়াই ঘণ্টা পার করে দেন। তারপরে রক্ত দিতেও অনেকটা সময় চলে যায়। তবে, শুধুমাত্র রক্ত না পাওয়ার কারণেই রোগী মারা গিয়েছেন কি না সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা জানান, ‘‘প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রোগীর পরিজনদের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করাতেই সমস্যা হয়েছে। তবে, বিষয়টি যেহেতু রক্ত সম্পর্কিত আমরা অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health Medical Burdawan Blood Bank
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE