রাজ্যপাল চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে আগামী ২০ জুন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠক ডেকে উপাচার্য নিমাই সাহা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন সমাবর্তন করতে চেয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তিনি বিশেষ কাজ থাকায় ১৫ জুন আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। পরে তিনি চিঠি দিয়ে জানান, গোলাপবাগ অডিটোরিয়ামে ২০ জুন সমাবর্তন হলে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন। এ দিন কোর্টের সভায় আচার্যের ইচ্ছেকেই সম্মতি জানালেন সদস্যেরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১২ ফেব্রুয়ারি সমাবর্তন উৎসব হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো মেডেল, শংসাপত্র, পদকপ্রাপকদের চিঠি তৈরি থেকে উত্তরীয় সংগ্রহ করার কাজ শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। তার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ ঘোষণা করা হয় ওই দিনে সমাবর্তন হচ্ছে না। সমাবর্তন পিছনোয় অনেকেই ফল বেরনোয় দেরিকে দায়ী করে পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বিজ্ঞান বিভাগে ডিন নেই বলে সমাবর্তন পিছিয়ে গিয়েছে বলেও শোনা গিয়েছিল। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ জানানো হয়, ডিন না থাকলেও সমাবর্তন করা যায়।
এ দিন উপাচার্য বলেন, “বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আচার্য তথা রাজ্যপালের থাকাটা ঐতিহ্য। আমার সব পড়ুয়ারাই চান, রাজ্যপালের কাছ থেকে শংসাপত্র নিতে, সে জন্যই তিনি আসতে পারবেন না জানার পরে আমরা সমাবর্তন পিছিয়ে দিয়েছিলাম।’’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজ্যপাল ওই চিঠিতেই এ বছর ডিলিট ও ডিএসসি প্রাপকদের নাম কোর্টের সভায় অনুমোদন করার জন্য লিখে পাঠিয়েছেন। কোর্টের এক সদস্য বলেন, “সমাবর্তনে এখনও তিন মাস দেরি। সে জন্য পদক প্রাপকদের নাম নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়নি। আরও একটি সভা ডেকে পদক প্রাপকদের নাম নিয়ে আলোচনা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy