দুর্গাপুরের জাকির হুসেন অ্যভিনিউয়ে। নিজস্ব চিত্র
শহরের বিভিন্ন জায়গায় ‘ওয়াটার এটিএম’ (জলের এটিএম) নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য ফের রদবদল করতে হচ্ছে। এখনও বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থাও হয়নি। ফলে দুর্গাপুরে ওয়াটার এটিএম চালুর প্রক্রিয়া আরও পিছিয়ে গেল বলে মনে করছেন শহরবাসী। যদিও মেয়র পারিষদ (জল সরবরাহ) পবিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কাজ বেশি বাকি নেই। সব ঠিক থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে এটিএমগুলি চালু করা যাবে।’’
দুর্গাপুরে জলের এটিএম বসাতে প্রথম উদ্যোগী হয় আগের পুরবোর্ড। তবে তা বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ চলতি পুরবোর্ডের। পুরসভা জানায়, আগের বোর্ড আটটি এটিএম তৈরিতে উদ্যোগী হয়। নতুন বোর্ড সেই সংখ্যা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে।
কিন্তু কেন এই উদ্যোগ? পুরসভা জানায়, ব্যাঙ্কের এটিএমে যেমন কার্ড দিয়ে টাকা তোলা যায়, জলের এটিএম-এ এক টাকার কয়েনের বিনিময়ে মিলবে এক লিটার জলের পাউচ। ‘ভেন্ডিং মেশিনে’র মাধ্যমে পানীয় জলের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের হলদিয়া-সহ চালু হয়েছে দেশের নানা শহরে। রাস্তায় বেরিয়ে হাতের কাছে জল না পেলে প্রায় ২০ টাকা খরচ করে পানীয় জলের বোতল কিনতে হয়। আর্থিক কারণে অনেকেই তা পারেন না। এ ছাড়া সেই জল বিশুদ্ধ কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকে। পুরসভার জলের এটিএম-এ সেই সমস্যা মিটবে বলে আশা পবিত্রবাবুর।
বিধাননগরে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল, ইএসআই হাসপাতাল, ডিএসপি মেন হাসপাতাল, বিভিন্ন বাজার এলাকা, বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন প্রভৃতি জায়গায় মোট ১৬টি এটিএম তৈরি করা হয়েছে। এক একটির জন্য গড়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পের টাকা থেকে কাজ হয়েছে বলে পুরসভা জানিয়েছে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সেগুলি চালু করা যায়নি। কেন? পুরসভায় খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এটিএম যন্ত্রটি ঠান্ডা রাখার জন্য সেটি যেখানে থাকবে, সেই ঘরে ঘুলঘুলি (ভেন্টিলেশন) থাকা দরকার। তা করা যায়নি। ফলে ফের নতুন করে সেই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এ ছাড়া, ভেন্ডিং মেশিন চলবে বিদ্যুতে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগই এখনও পৌঁছায়নি কোনও এটিএমে। এই পরিস্থিতিতে গ্রীষ্মের আগে সেগুলি চালু করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে শহরবাসীর একাংশ।
পুরসভা অবশ্য জানায়, এটিএমগুলিতে জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। মেয়র পারিষদ পবিত্রবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘জল দফতরের যা কাজ ছিল, শেষ হয়ে গিয়েছে। পূর্ত দফতরের সামান্য কাজ বাকি। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য টেন্ডার ডেকেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। গ্রীষ্মের আগেই এটিএমগুলি চালু করে ফেলা যাবে বলে আমাদের আশা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy