পুরসভার সামনে সার সার দাঁড়িয়ে টোটো। —নিজস্ব চিত্র।
অনুমতিহীন টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অভিযানে নেমেছে বর্ধমান পুরসভা। তার মধ্যেই অনুমতি রয়েছে এমন টোটো চালকদের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে গেল অনুমতিবিহীন টোটোগুলির। তাও আবার বর্ধমান পুরসভার সামনে।
বুধবার সকালের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় বর্ধমান শহরে। অভিযোগ, একদল টোটোচালক পুরসভার ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। তখন বিক্ষোভকারীরা পুরসভার বাইরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গোলমালের খবর করতে গিয়ে প্রহৃত হন স্থানীয় টিভি চ্যানেলের আলোকচিত্রীও। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ১৫টি অনুমতিবিহীন টোটোকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের ধরপাকড়ে এ দিন রাস্তায় টোটোর সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল।
সম্প্রতি পুরসভা অনুমোদিত ৭৫টি টোটো ছাড়া অন্য টোটোগুলির জিটি রোডে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুরপ্রশাসন। ফলে শহরের বেশিরভাগ টোটো চালকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিলই। এ দিন সকালে পুরসভার সামনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন টোটোচালক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা পুরসভার অনুমতিপ্রাপ্ত টোটোচালক। কিন্তু শহরের কিছু বেআইনি টোটো চালক তাঁদের গাড়ি চালাতে বাধা দিচ্ছেন। এ দিন পুরসভার সামনে অনুমতিপ্রাপ্ত একটি টোটো ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অন্য দিকে, যে সব টোটো চালক অনুমতি পাননি তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, যে ৭৫টি টোটো পুরসভার অনুমতি পেয়েছে বলে দাবি করেছে তারা পরিবহণ দফতরের অনুমতি পায়নি। এক টোটো চালকের হুমকি, “চললে সব টোটো চলবে। না হলে একটি টোটোও চলতে দেওয়া হবে না।” এই পরিস্থিতিতে দু’পক্ষের টোটো চালকদেরই দাবি, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেকের মধ্যেই আইন মেনে টেন্ডার ডেকে ৭৫টি টোটো গাড়িকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। শহরের দু’প্রান্তের দু’টি বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বুধবার নবান্ন থেকে পুরসভায় একটি চিঠি এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এ বার থেকে টোটোগুলিকে পরিবহন দফতর থেকে অনুমোদন নিতে হবে। পুরসভার অনুমতি পাওয়া টোটোগুলিকেও এই অনুমতি নিতে হবে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যে শহরে ৫ লক্ষ লোক বসবাস করেন সেখানে টোটো চলতে দেওয়া যাবে না। তার থেকে কম জনবসতিপূর্ণ শহরে শুধুমাত্র গলিতে টোটো চলাচল করতে পারবে। আঞ্চলিক পরিবহন দফতরের এক কর্তা বলেন, “টোটোগুলিকে বর্ধমান শহরে চলাচল করতে হলে পরিবহন আইন অনুসারে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের পরিবহণ বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে।”
বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান স্বরূপ দত্ত বলেন, “পরিবহণ দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। আমাদের অনুমতি পাওয়া ৭৫টি বেশি টোটোর দায়িত্ব আমরা নিতে পারব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy