বিঘ্ন: হাওড়ায় কারশেডে জল জমে যাওয়ায় বাতিল হয় একাধিক ট্রেন। শনিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
রামরাজাতলা স্টেশন পেরিয়ে রামচরণ শেঠ রোডে ঢুকতেই ডুবে গেল মোটরবাইকের চাকা। একটু দূরে উল্টো দিক থেকে আসা একটি রিকশার চাকা দেখা যাচ্ছে না। বেলা ১১টার সময়ে রাস্তার দু’পাশে দোকানপাট বন্ধ। এলাকার এক বাসিন্দা সৌমেন মণ্ডল বলেন, “৪৮ বছরের জীবনে এত জল দেখিনি রামরাজাতলার এই রাস্তায়।”
শুধু সৌমেনবাবু নন, শনিবার সারা দিন ধরে হাওড়া শহরের অলিগলিতে একই বক্তব্য শোনা গিয়েছে সাধারণ মানুষের মুখে। শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে হাওড়া শহরের ৬৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টি ওয়ার্ড এ দিন চলে গিয়েছে জলের তলায়। প্রায় ৯ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেলেও বর্ষার আগে নিকাশির সংস্কারের কাজ ঠিক মতো না হওয়ায় জল জমার যে আশঙ্কা করছিলেন বাসিন্দারা, এক দিনের বৃষ্টিই তা সত্যি করে দিল।
এ দিন উত্তর হাওড়ার জি টি রোডে বেশি জল না জমলেও টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালের একতলায় চিকিৎসকদের বসার ঘরে জল থইথই করেছে। জল জমেছে মহীনাথ পোড়েল লেন, ঘোষপাড়া লেন, কামিনী স্কুল লেন, বেনারস রোড-সহ বিভিন্ন এলাকায়। হনুমান জুট মিলের কুলি লাইনের ঘরের ভিতরেও প্রায় তিন ফুট জল জমে যায়। মধ্য হাওড়ার টিকিয়াপাড়া, দাশনগর, ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাস, পঞ্চাননতলা, ইছাপুর ডুমুরজলা হাউসিং-সহ বিভিন্ন এলাকায় শনিবার রাত পর্যন্ত জল নামেনি। বিভিন্ন জায়গায় ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় এ দিন রান্নাবান্না করতে পারেননি বাসিন্দারা।
বেনারস রোডে জল ঠেলে যাতায়াত। শনিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
হাওড়ার পুর কমিশনার তথা পুর প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, “জল নামাতে কেএমডিএ-র দু’টি বড় পাম্পিং স্টেশন ছাড়াও ২৯টি ছোট পাম্প চালানো হচ্ছে। সাফাইকর্মীরা সারাদিন জল বার করার চেষ্টা করছেন। আমরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy