Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কাজ শেষের আগেই সরল জিনিস, অভিযুক্ত তৃণমূল 

সংযোগকারী রাস্তা হওয়ার আগেই ইট, বালি রাতে তুলে নিেয় যাওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।

সমস্যা: কালভার্টের এই রাস্তা তৈরি নিয়ে জটিলতা। —নিজস্ব চিত্র।

সমস্যা: কালভার্টের এই রাস্তা তৈরি নিয়ে জটিলতা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোঘাট শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৬
Share: Save:

পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে একটি রাস্তার কালভার্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সংযোগকারী রাস্তা হওয়ার আগেই ইট, বালি রাতে তুলে নিেয় যাওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।

গোঘাট-২ ব্লকের হাজিপুর পঞ্চায়েত এলাকার ডমনচক গ্রামের এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট গ্রামের বাসিন্দারাই মঙ্গলবার বিডিওর কাছে গণস্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত অভিযোগ জানালেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ আবদুল সেলিম-সহ তার পাঁচ সঙ্গীর বিরুদ্ধে। বিডিও অরিজিৎ দাস বলেন, “অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত বোর্ড থাকাকালীন ডমনচক গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ১ কিলোমিটার রাস্তা এবং সেই রাস্তার উপরে নিকাশি খালের উপর কালভার্ট তৈরি শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে মূল রাস্তায় সংযোগকারী রাস্তাটার উপর নিকাশি খালের উপর কালভার্টের কাজ দু’মাস আগে শেষ হয়ে গিয়েছে। সমতল থেকে অন্তত ৫ ফুট উপরে সেই কালভার্ট হয়ে গেলেও রাস্তার সঙ্গে তা যোগ না হওয়ায় রাস্তা পারাপার করা যাচ্ছে না। এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় যাওয়ার একমাত্র পথ সেটি। স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ রায়ের অভিযোগ, “ছোট ছেলে-মেয়েরা নিকাশি নালায় নেমে রাস্তা পারাপার করছে। প্রধানকে বারবার বলা সত্ত্বেও কিছু হয়নি।”

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দিন কয়েক আগে রাতে তৃণমূল নেতা শেখ আবদুল সেলিম এবং তার লোকজন ঠিকাদারের ফেলে রাখা নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে পালিয়েছে। গ্রামবাসীদের মধ্যে সুনীল ভুঁইয়া প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে মারধরের অভিযোগও ওঠে। গ্রামবাসীদের দাবি, “প্রধানকে বিষয়টি বলা সত্ত্বেও তিনি কোনও পদক্ষেপ না নেওয়াতেই ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।”

অথচ তৃণমূল পরিচালিত হাজিপুর প্রধান সুলেখা ঘোষের দাবি, “ইমারতি দ্রব্য নিয়ে পালানো বা রাস্তার অসুবিধা নিয়ে আমাকে কোনও লিখিত অভিযোগই করা হয়নি।”

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ আবদুল সেলিম বলেন, “ঠিকাদেরের ইট, বালি ইত্যাদি জিনিস পাশাপাশি জমিতে ফেলা ছিল। সে সব নিয়ে পালাব কেন! স্থানীয় মানুষের বোরো চাষের জমি থেকে ওই সব জিনিস সরিয়ে নিয়ে গিয়ে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে রেখে দিয়েছি। সে কথা ঠিকাদারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” ঠিকাদার এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।

দলের নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে গোঘাট বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, “ইমারতি দ্রব্য চুরির অভিযোগ ঠিক নয়। জমি ফাঁকা করতেই তা সরিয়ে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে কার্লভার্টের সংযোগকারী রাস্তাটি যাতে দ্রুত নির্মাণ হয় সেই নিয়ে পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Crime Corruption
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE