জাহাজ থেকে কয়লা চুরির বড় চক্রের সন্ধান পেল শ্যামপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ইতিমধ্যেই একটি বার্জের মাস্টার-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায় আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, জাহাজের কয়লা চুরির একটা বড় চক্র এই কাজে লিপ্ত। পলাতক দুষ্কৃতীকে যেমন ধরার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে ধৃতদের জেরা করেও এই চক্রের পিছনে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে।
কয়লা ভর্তি বড় জাহাজ অনেক সময় সরাসরি কলকাতা বন্দরে ঢুকতে পারে না। তখন ডায়মন্ড-হারবারে জাহাজকে দাঁড় করিয়ে বার্জ-এ কয়লা ভরে তা কলকাতা বন্দরে পাঠানো হয়। গত বুধবার এমনই একটি বার্জ বন্দরে কয়লা নিয়ে আসছিল। হুগলি নদী ধরে কলকাতা বন্দরে আসার পথে গত ২০ সেপ্টেম্বর শ্যামপুরের কাছে কাঁটাখালিতে বার্জটিকে চার ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। বার্জটিকে ঘিরে ছিল অনেকগুলো ছোট নৌকো। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ আসতে দেখেই নৌকাগুলি চম্পট দেয়। পুলিশ স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে নৌকাগুলি করে ওই বার্জ থেকে কয়লা নামানো হচ্ছিল। পুলিশ বার্জ-এ উঠে কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু কেন বার্জটি এখানে এতক্ষণ দাঁড়িয়েছিল তার সদুত্তর কর্মীরা দিতে পারেননি। এরপর পুলিশ বার্জ-এর মাস্টার-সহ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় আনে। পুলিশের দাবি, মাস্টার এবং কর্মীরা তাদের কাছে স্বীকার করেন, বার্জ থেকে কয়লা নিয়ে তা পাচারকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল। পাচারকারীরা ছোট নৌকায় করে কয়লা নিয়ে পাচার করছিল। এরপর পুলিশ বার্জ-এর মাস্টার দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগরের নুরপুরের বাসিন্দা শেখ মনিরুল এবং আরও পাঁচ কর্মীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, বার্জটিতে প্রায় ১৭০০ মেট্রিক টন কয়লা ছিল। তা থেকে প্রায় ১০ টন কয়লা ছোট নৌকায় করে পাচার করা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ উলুবেড়িয়ার জগদীশপুর বাঁশতলায় এক দুষ্কৃতীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হানা দেয়। সেখান থেকে ৩ টন কয়লা উদ্ধার করে। ওই দুষ্কৃতীকে অবশ্য পুলিশ ধরতে পারেনি। তার সন্ধানে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy