Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

বাসস্ট্যান্ড দূরঅস্ত, সমস্যা মেটাতে বসছে সিগনাল

কথা ছিল বাগনান কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির চাপ কমাতে তৈরি হবে বিকল্প বাসস্ট্যান্ড। সেই পরিকল্পনা আপাতত বিশ বাঁও জলে। তাই ট্রাফিক সিগনাল বসিয়ে গাড়ির চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে চাইছে পুলিশ। বাগনান কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড-এ বসানো হচ্ছে ট্রাফিক সিগনাল।

বাসস্ট্যান্ডে যানজট সামলাতে আপাতত ভরসা সিভিক ভলান্টিয়ারেই। নিজস্ব চিত্র।

বাসস্ট্যান্ডে যানজট সামলাতে আপাতত ভরসা সিভিক ভলান্টিয়ারেই। নিজস্ব চিত্র।

নুরুল আবসার
বাগনান শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০১
Share: Save:

কথা ছিল বাগনান কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির চাপ কমাতে তৈরি হবে বিকল্প বাসস্ট্যান্ড। সেই পরিকল্পনা আপাতত বিশ বাঁও জলে। তাই ট্রাফিক সিগনাল বসিয়ে গাড়ির চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে চাইছে পুলিশ। বাগনান কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড-এ বসানো হচ্ছে ট্রাফিক সিগনাল। এর মাধ্যমে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

বাগনান কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে সবসময় গাড়ির ভিড় লেগে থাকে। হাওড়া ছাড়াও হুগলি এবং দুই মেদিনীপুরের একটা বড় অংশের মানুষ বাগনান স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে কলকাতায় যাতায়াত করেন। তাঁরা বাস, অটোরিকশায় বা ছোট গাড়িতে করে বাগনান বাসস্ট্যান্ডে আসেন। আবার কাজ সেরে স্ট্যান্ড থেকেই বাস, অটোরিকশা বা ছোট গাড়ি ধরে বাড়ি ফিরে যান। ফলে যাত্রী এবং গাড়ির ভিড় যানজট লেগেই থাকে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে।

সমস্যার সমাধানে বাসস্ট্যান্ড সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করে প্রশাসন। উল্লেখ্য, বাসস্ট্যান্ডটির মালিক হল বাগনান ১ পঞ্চায়েত সমিতি। সমিতি সূত্রে খবর, যে জমিতে বাসস্ট্যান্ডটি গড়ে উঠেছে তা রেল কর্তৃপক্ষের। যতটুকু জমিতে তারা বাসস্ট্যান্ড তৈরির অনুমতি দিয়েছে তার বাইরে আর জমি ছাড়তে নারাজ রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে সম্প্রসারণের কাজ করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে বাগনান রেলওয়ে উড়াল সেতুর নীচে একটি অতিরিক্ত বাসস্ট্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করে সমিতি। তবে সেই প্রকল্প এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। এ দিকে গাড়ির ভিড়ে নাভিশ্বাস উঠছে যাত্রী এবং পথচারীদের। ফলে সমস্যা মেটাতে আসরে নেমেছে পুলিশ।

জেলা পুলিশের (গ্রামীণ) তরফে যানজট মেটাতে ইতিমধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তাঁরা বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি ঢোকা ও বেরোনোর মুখে যানজট নিয়ন্ত্রণ করছেন। শুধু তাই নয়, বাসের চ্যানেলে যাতে অটোরিকশা ও ছোট গাড়ি ঢুকে না পড়ে তাও দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে চালু হচ্ছে সিগনাল ব্যবস্থা।

হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, বাসস্ট্যান্ডে ঢোকা বা বেরোনোর সময়ে অটোরিকশা, ছোট গাড়ি বা বাস যাত্রী ওঠানো-নামানোর কাজ করে। তার ফলে যানজট পুরো স্ট্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। ট্র্যাফিক সিগনালের মাধ্যমে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তা ভাঙলে চালকের কাছ থেকে মোটা টাকা জরিমানা আদায় করা হবে।

যানজট রোধে সিগনাল ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছে বাগনানের নাগরিক সমাজ। যদিও তাঁদের বক্তব্য, আরও একটি বাসস্ট্যান্ড না হলে সমস্যা পুরোপুরি মিটবে না। প্রসূন রায়, সৌরেন্দ্রশেখর বিশ্বাস, রতনকুমার ঘোষ, বিভাস সামন্ত বলেন, ‘‘আমরা ব্লক প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি, আরও একটি বাসস্ট্যান্ড দরকার। না হলে যানজট বাড়তেই থাকবে।’’

বাগনান ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নয়ন হালদার বলেন, ‘‘ছোট গাড়ি এবং এবং অটোরিকশার জন্য উড়াল সেতুর নীচে নতুন স্ট্যান্ড তৈরির জন্য পরিবহণ দফতরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করা হচ্ছে সমস্যা মিটে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Signal Bus Stand Traffic Jam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE