শ্রীরামপুরের নার্সিংহোমে বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের। ছবি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সংগৃহীত।
তখন সবে ভোরের আলো ফুটেছে। নার্সিংহোমের সামনে বাইক নিয়ে এসে দাঁড়ায় জনা ২০ যুবকের একটি দল। বাইকেই চাপিয়ে নিয়ে এসেছিল তাদেরই আহত এক সঙ্গীকে নিয়ে। সারা শরীর রক্তে ভিজে গিয়েছিল। ঝড়ের গতিতে নার্সিংহোমে ঢুকে তারা সঙ্গীর চিকিত্সার জন্য জোরাজুরি করতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে ফের মিলল পাক সুড়ঙ্গ
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রাথমিক চিকিত্সা করানোর পর নিয়ম অনুযায়ী যুবকদের একটি ফর্ম পূরণ করতে বলা হয় রিসেপশন থেকে। কিন্তু তারা ফর্ম পূরণ করতে অস্বীকার করে। অভিযোগ, চিকিত্সা কেন হবে না এই হুমকি দিয়েই নার্সিংহোমের কর্মীদের উপর চড়াও হয় তারা। ব্যাপক মারধর করে। এই ঘটনা যখন চলছে, ওই যুবকদের মধ্যে এক জন সোজা আইসিইউ-তে ঢুকে পড়ে। তার পর বন্দুক উঁচিয়ে চিত্কার করে শাসাতে থাকে, ‘এক্ষুনি গুলি করে দেব’। বন্দুক দেখে আরও ভয় পেয়ে যান নার্সিংহোমের কর্মীরা। ভয়ে, আতঙ্কে সব দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। তার পরই ওই যুবকরা আহত সঙ্গীকে নিয়ে যেমন ঝড়ের গতিতে এসেছিল, ঠিক সেই ভাবেই বাইকে করে চম্পট দেয়। শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির শ্রীরামপুরের মানিকতলার একটি নার্সিংহোমে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায় যুবকরা। ঘটনাটি ধরা পড়েছে নার্সিংহোমের সিসিটিভি ফুটেজে।
আরও পড়ুন: দশমীর মেলা, সরলো মহরমের লাঠিখেলা
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে ওই অজ্ঞাতপরিচয় যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান দুষ্কৃতীমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে ওই যুবকরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় এসেছিল অভিযুক্তেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy