প্রতীকী ছবি।
পুজো আসে, পুজো যায়। অনেক সময়েই প্রবীণ মানুষদের কাছে উৎসবের সেই আঁচ পোঁছয় না। একদিকে বয়স, অন্যদিকে নিঃসঙ্গতা। দু’য়ের যোগফলে প্রবীণদের অনেকেরই কাছে পুজো আর নতুন কোনও বার্তা নিয়ে আসে না। তাঁরা শুধু অতীতের স্মৃতির ঝাঁপি হাতড়ান। এ বার এই পরিস্থিতি থেকে প্রবীণদের বের করে আনতে উদ্যোগী হল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। তাঁদের ঠাকুর দেখাবে পুলিশই। সঙ্গে আরও আয়োজন। যাতে উৎসবের আনন্দের কিছু মুহূর্ত প্রবীণ মানুষদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায়।
কী থাকছে পুলিশের আয়োজনে?
কমিশনারেট সূত্রের খবর, ঠাকুর দেখতে লঞ্চে ভ্রমণ, ভোগ খাওয়া, পছন্দের মণ্ডপে যাওয়া, নতুন পোশাক, ভুরিভোজ— কী নেই! প্রয়োজনে প্রবীণ মানুষেরা যেমনটা চাইবেন, ঠিক তেমনটাই সাজিয়ে দেবেন পুলিশকর্তারা। পুরো পরিকল্পনা পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের। তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি এবং এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাজের চাপে অনেক সময়ই বাড়ির প্রবীণ মানুষেরা অনেকটা একা হয়ে থাকেন। আমাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। তাই পুজোর দিনগুলিতে আমরা এলাকার ওঁদের নিয়ে একটু অন্য ভাবে কাটাতে চাইছি।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, কমিশনারেট এলাকার অন্তত ২৫০ প্রবীণ বাসিন্দাকে দেওয়া হবে নতুন ধুতি, শাড়ি, পায়জামা, পাঞ্জাবি। পুজোর চার দিনে তাঁদের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হবে। কমিশনার জানান, একদিন চুঁচুড়া থেকে লঞ্চে দক্ষিণেশ্বর নিয়ে যাওয়া হবে প্রবীণদের। সেখানে আগাম বলে রেখে তাঁদের জন্য ভোগের ব্যবস্থা করা হবে।
কমিশনারেটের সাতটি থানা এলাকায় বহু প্রবীণ মানুষ আছেন, যাঁরা একা থাকেন। যে কোনও প্রয়োজনে তাঁরা যাতে পুলিশি সাহায্য পান, সে জন্য ইতিমধ্যেই কমিশনারেটের তরফে ‘স্পর্শ’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এ বার পুজোয় তাঁদের জন্য আনন্দেরও আয়োজন করল পুলিশ। অবশ্য ‘স্পর্শ’-এর সঙ্গে যুক্ত নন, কমিশনারেট এলাকার এমন প্রবীণ-প্রবীণারাও ইচ্ছে করলে পুলিশের সঙ্গে পুজো দেখতে যেতে পারবেন বলে কমিশনারেটের এক কর্তা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy