প্রতিবাদে: ধর্মঘটের সমর্থনে উলুবেড়িয়ায় সিপিএমের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
বামেদের ডাকা দু’দিনের ধর্মঘটে পরিষেবা সচল রাখতে বদ্ধপরিকর দু’জেলারই পুলিশ-প্রশাসন।
চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রে জানানো হয়েছে, ধর্মঘট মোকাবিলায় ইতিমধ্যে র্যাফ এসেছে এলাকায়। জেলা সদর চুঁচুড়ার মহকুমাশাসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘‘সরকারি অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক। তবে আমরা আশা করছি সড়কপথ-জলপথ পরিবহণে বিঘ্ন হবে না।’’
আজ, মঙ্গলবার ও বুধবার টানা দু’দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামেরা। তার জেরে জনজীবন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হুগলিতে অনেক ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে পরীক্ষা চলছে। কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে পরীক্ষা এই দু’দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার অজয় কুমার বলেন, ‘‘যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। সড়ক অবরোধের কোনও চেষ্টা হলে তা প্রতিরোধ করা হবে। রেল পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জেলায় রেললাইনের উপরও নজরদারি চালানো হবে।’’
তবে প্রশাসনের এই প্রতিরোধ রুখে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘হাওড়া-ব্যান্ডেল মেন শাখার প্রতিটি স্টেশন ও সড়ক পথে আমাদের সমর্থক এবং কর্মীরা বিক্ষোভ, অবরোধ করবেন। জেলার গ্রামীণ এলাকায় মূলত সড়ক পথগুলিতে অবরোধ চলবে।’’
হাওড়া জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গৌরব শর্মা জানান, মুম্বই রোড-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে পুলিশ থাকবে। সঙ্গে থাকবেন জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
অন্য দিকে, জেলা বাস মালিকরা জানিয়েছেন তাঁরা পরিবহণ ব্যবস্থাকে সচল রাখবেন। জেলা বাসমালিক সমন্বয় কমিটির সম্পাদক অসিত পণ্ডিত বলেন, ‘‘সোমবারই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সব রুটে বাস চালানো হবে। যদি তাতে বাধা দেওয়া হয় তাহলে রুটের সমস্ত বাস জড়ো করে পাল্টা রাস্তা অবরোধ করা হবে।’’
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন রুট থেকে দিনে গড়ে প্রায় ১৫০ বাস কলকাতা ও হাওড়ায় চলাচল করে। এই বাসমালিকদের সংগঠন ইন্ট্রা অ্যান্ড ইন্টার রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য কমিটির সদস্য প্রভাত পান বলেন, ‘‘আমরা সব রুটে বাস চালাব।’’ তবে একটি শর্তও জুড়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘কর্মচারীরা যদি ধর্মঘটে সামিল হয়ে কাজে যোগ না দেন, আমাদের কিছু করার নেই,’’
সিপিএমের হাওড়া জেলা কমিটির সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, ‘‘শ্যামপুর, দাসনগর, সাঁত্রাগাছি প্রভৃতি জায়গাতে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের কর্মীরা ধর্মঘট করতে দেওয়া হবে না বলে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।’’ বিপ্লববাবুর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি পুলক রায়। তিনি বলেন, ‘‘নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে মাঝে মাঝে সিপিএম ধর্মঘট ডাকে আর বিশ্ৃঙ্খলা ছড়ায়। এর কোনও প্রভাবই পড়বে না। তাই তা ব্যর্থ করার প্রশ্নই ওঠে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy