প্রায় ৪০ বছর ধরে গোঘাট পিছিয়েই রয়েছে। গোঘাটের উন্নতির জন্য এ বার মানস মজুমদারকে জেতান। মানসের চোখ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোঘাটকে দেখবেন। হুগলির গোঘাটে ১৯৮২ সাল থেকে চলে আসা বামেদের আধিপত্য খর্ব করে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করতে এ ভাবেই সোমবার সভায় ডাক দিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন গোঘাটে শ্যাওড়ার শিবতলা মাঠে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে এসেছিলেন কল্যাণ। সভায় তিনি বলেন, “গোঘাটে উন্নয়নের দায়িত্ব নিচ্ছি আমি। আগামী ৩০ এপ্রিল কোনও দিকে না তাকিয়ে মানসকে জেতান। এ লড়াই পশ্চিমবঙ্গের লড়াই, কন্যাশ্রীর লড়াই, যুবশ্রীর লড়াই। এ লড়াই জিততে হবে।”
এ দিন দ্বিতীয় দফার ভোটে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে লড়ছেন জোট প্রার্থী তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সেই প্রসঙ্গ তুলে সাংসদ বলেন, ‘‘আজ নারায়ণগড়ে সূর্য অস্ত চলে গিয়েছে। ৩০ এপ্রিলের পর গোঘাটে একজনও সিপিএম কর্মীকে দেখা যাবে না।” সিপিএম এবং কংগ্রেসের জোট নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, “ওরা ডানপন্থী ও বামপন্থী মিলে এখন শূন্যপন্থী।”
মমতাকে ‘একরোখা’ বলে মন্তব্য করা রাহুল গাঁধীর উদ্দেশে কল্যাণ বলেন, “৪০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের জন্য লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিছিয়ে থাকা পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন করে দেশের মধ্যে এক নম্বরে নিয়ে যেতে চাইছেন। আর তাঁকে বলা হচ্ছে ‘একরোখা’। রাজীব গাঁধীর ছেলে না হলে রাহুলজি এক পয়সাতেও বিক্রি হতেন না।” আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার হয়েও প্রচার করেন কল্যাণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy