প্রতীকী ছবি।
জমে উঠেছে মুরগি-লড়াই। উত্তেজনা চরমে। শ’দেড়েক খেলুড়ে। ভিড় করে খেলা দেখছেন আরও কিছু গ্রামবাসী। হঠাৎ ছন্দপতন!
পুলিশ হানা দিয়েছে। থানার টহলদারি ভ্যান দেখেই লড়াইয়ের ময়দান মুহূর্তে ফাঁকা। মুরগি এবং সাইকেল ফেলে কেউ পালালেন রাস্তা ধরে, কেউ পড়িমড়ি ছুটলেন আলপথ দিয়ে।
গাড়ি থেকে নেমে পুলিশকর্মীরা লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে তাঁদের যথাসম্ভব দূরে পাঠিয়ে দিলেন। তার পরে খুঁটিতে বাধা মুরগি ছেড়ে দিলেন। অতএব, খেলা ভণ্ডুল। লকডাউন সফল করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের এমন তৎপরতা দেখা গেল পান্ডুয়ার বেলুন-ধামাসিন পঞ্চায়েতের পাইকারা গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুকদেব হাসঁদা বলেন, ‘‘লকডাউনে কোনও কাজ নেই। রাস্তায় বেরোলে পুলিশ ধরবে। তাই খেতের ধারে পাইকারা, রোসনা গ্রামের কিছু বাসিন্দা মুরগি-লড়াইতে যোগ দিয়েছিলেন। ঘণ্টাখানেক খেলা গড়িয়েছিল। পুলিশ এসে সব বানচাল করে দিল।’’
করোনা সংক্রমণ রোধে দু’দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। গত কয়েকটি লকডাউনে হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে, রাস্তাঘাট কার্যত ফাঁকা। এ দিন লকডাউনে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। ফলে, সাধারণ মানুষ একেবারেই রাস্তামুখো হননি। দোকানপাট খোলেনি। রাস্তায় গাড়িও বিশেষ চলেনি। তার পরেও অকারণে মানুষজন রাস্তায় বেরোলে পুলিশ যথারীতি ব্যবস্থা নিয়েছে।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর জানান, লকডাউন-বিধি অমান্য করার অভিযোগে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ৭৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই কারণে গ্রামীণ হুগলিতে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার তথাগত বসু জানিয়েছেন।
হাওড়ার গ্রামীণ এলাকাও শুনশান ছিল। বাগনান, উলুবেড়িয়া, আমতা, উদয়নারায়ণপুর, ডোমজুড়, আন্দুল— সর্বত্রই ছিল একই ছবি।
রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও ছিল অনেক কম। পুলিশের টহলদারি ছিল। তবে পুলিশকে কড়াকড়ি করতে হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy