স্বাগত: আমতায় জনসভায় রাজনাথ সিংহ। ছবি: সুব্রত জানা
ফি-বছর বর্ষার মরসুমে দামোদর উপচে প্লাবিত হয় হাওড়ার আমতা এবং উদয়নারায়ণপুর। এ জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
বৃহস্পতিবার আমতা স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভায় এসেছিলেন রাজনাথ। সেখানেই রাজনাথ বলেন, ‘‘দামোদরের জন্য প্রতি বছর উলুবেড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দামোদরের ড্রেজিং করা হয়নি।’’
শুধু দামোদরের ড্রেজিং নিয়ে রাজ্য সরকারকে দুষেই থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইউপিএ সরকারের থেকে কেন্দ্র দ্বিগুণ টাকা দিলেও রাজ্যের কোনও উন্নতি হয়নি বলে তোপ দাগেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা যত বেশি পারি টাকা দিয়েছি এই রাজ্যকে। কোনও কাজ হয়নি। উল্টে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিকেও মানুষের কাছে পৌঁছতে দেওয়া হয়নি। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হয়নি। কিসান ক্রেডিট কার্ড করা হয়নি। ক্ষমতায় আসার আগে মমতাদি বলেছিলেন, ৫৪ হাজার বন্ধ কারখানা খোলা হবে। একটিও খোলেনি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ হেলিকপ্টারে সভায় আসেন রাজনাথ। রাজ্যে হিংসা নিয়ে তিনি সরব হন। মানুষকে নিশ্চিন্তে বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর কথায়, ‘‘নির্বাচন কমিশন বলেছে যতগুলি বুথে দরকার, ততগুলিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে। আপনারা বুথে গিয়ে নিশ্চিন্তে ভোট দিন। কোনও ভয় নেই।’’ বিরোধীদের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নিয়ে সংশয়কেও কটাক্ষ করেন তিনি। ঠা ঠা রোদে অবশ্য মাঠে ভিড় হয়নি বললেই চলে।
রাজনাথ চলে যাওয়ার পরে তাঁর তোলা অভিযোগকে নস্যাৎ করেন হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা তৃণমূল সভাপতি পুলক রায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভুল তথ্য পেয়েছেন বলে তাঁর দাবি। পুলকবাবু বলেন, ‘‘জেলা জুড়ে রাজ্য সরকার ১৭৫০ টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে ধান কিনছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ফড়েদের বিরুদ্ধে। বহু চাষি উপকৃত হয়েছেন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে দামোদরের সংস্কারে স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে। ফলে, উদয়নারায়ণপুর ও আমতায় বন্যার প্রকোপ অনেক কম। বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় এই নদী সংস্কারের বিপুল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। সেই কাজ শেষ হলে বন্যার আশঙ্কা আর থাকবেই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy