প্রতীকী চিত্র।
দীর্ঘদিন ধরেই গাদিয়াড়ার কিছু হোটেলে অবাধ দেহ ব্যবসা নিয়ে অভিযোগ তুলছেন গ্রামবাসীরা। এ বার তেমনই একটি হোটেলে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার ‘প্রেমিক’-এর বিরুদ্ধে। সুরজিৎ মান্না নামে শ্যামপুরের রামেশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই অভিযুক্তকে তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূর থেকে গ্রেফতার করে আনল পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে শনিবার উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে দু’দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামপুরের ওই ছাত্রীটি দশম শ্রেণিতে পড়ে। ওই যুবকের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। গত বছর ২০ নভেম্বর বেলা ১১টা নাগাদ ছাত্রীটি যখন স্কুলে যাচ্ছিল, সেই সময় সুরজিৎ তাকে রাস্তায় ধরে। সেখান থেকে ওই হোটেলে নিয়ে যায়। অভিযোগ, হোটেলে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে সেই ছবি সুরজিৎ নিজের মোবাইলে তুলে রাখে। কিছুদিন পরে সুরজিৎ ফের ছাত্রীটিকে ওই হোটেলে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ছাত্রীটি রাজি না-হওয়ায় ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ। এরপরে ছাত্রীটি ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করা বন্ধ করে দেয়। তাতেই আক্রোশ মেটাতে সুরজিৎ ধর্ষণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রীর বাবা ২৭ জুলাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত কোয়েম্বত্তূরে গা-ঢাকা দিয়েছে। ৫ অগস্ট শ্যামপুর থানার পুলিশ তামিলনাড়ু পুলিশের সাহায্যে সুরজিৎকে ধরে। সেখানকার আদালতে হাজির করানোর পরে ট্রানজিট রিমান্ডে সুরজিৎকে শুক্রবার শ্যামপুরে আনা হয়।
এই ঘটনার কথা জানতে পেরে ফের গাদিয়াড়ার গ্রামবাসীরা সেখানকার কিছু হোটেলে দেহ ব্যবসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, আগেও একাধিকবার ওই সব হোটেলে দুষ্কর্মের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁরা পুলিশের কড়া নজরদারির দাবি তুলেছেন। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, গাদিয়াড়ায় নজরদারি চালানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy