দুষ্কর্ম: হামলা চালানো হয় এই বাসেই। নিজস্ব চিত্র
কনে যাত্রীর বাস আটকে লুটপাট, মারধর এবং মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে গোঘাটের দিঘরার ঘটনা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় বাসটিকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। আরামবাগের এসডিপিও নির্মলকুমার দাস বলেন, “কনে যাত্রী এবং বাস মালিকের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসটি যাচ্ছিল গোঘাটের মথুরা থেকে আসলহরি গ্রামে। বাসে কনে যাত্রী ছিলেন ১২০ জন। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ দিঘরা মোড়ে বাসটির সামনে দুটি মোটরবাইকে চেপে ছয় দুষ্কৃতী পথ আটকায়। বাস চালক নির্মল মণ্ডলের অভিযোগ, “হর্ন দেওয়া সত্ত্বেও ওই যুবকরা সরছিল না। পথ ছাড়তে বলতেই বাসে উঠে আমাকে মারতে শুরু করে। কনে যাত্রীদের চিৎকারে জনা পনেরো গ্রামের লোক এল বটে! কিন্তু তারা সাহায্যের বদলে লুটপাট শুরু করল।’’
আহত পারুল বারুইয়ের অভিযোগ, “দুষ্কৃতীদের হাতে লাঠি, রড, শাবল ছিল। মেয়েদের গয়না নিয়ে পালিয়েছে ওরা। শুধু তাই নয়, অসভ্যতাও করেছে। শিশুরা ভয় পেয়ে কাঁদলে তাদের ঘুঁসি মেরেছে।” তীর্থঙ্কর বাড়ুই নামে আর এক যাত্রীর কথায়, ‘‘আমরা সিঁটিয়ে ছিলাম। যখন দেখি মেয়েদের অসম্মান করা হচ্ছে, তখন আমরা মরিয়া হয়ে ভিতর থেকে তাদের আটকানোর চেষ্টা করি। তখনই দেখি কয়েকশো মহিলা-পুরুষ এসে বাসটি ঘেরাও করে ইট ছুড়ছে।’’
ছাড় মেলেনি এই খুদেরও। নিজস্ব চিত্র
দিঘরা গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মালিক ওরফে রাহুলের দাবি, “রাতে খবর এল, বাসে কনেযাত্রীদের অনেকে আমাদের গ্রামের কয়েক জনকে নিয়ে পালাচ্ছে। সেটা শুনেই আমরা প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। লুটের কথা আমরা জানতাম না।’’
কনেযাত্রীদের অভিযোগ, গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের যোগাযোগ রয়েছে। তারাই গ্রামবাসীদের সামনে রেখে লুটপাট, মারধর করেছে। এমনকি দুষ্কৃতীদের পালাতে সাহায্য করেছে তারাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy