Advertisement
১১ মে ২০২৪

পুজো শেষেও ভিড় কমছে না মণ্ডপে

এ বার একাদশী ছিল রবিবার, দ্বাদশীর দিন ছিল গাঁধী জয়ন্তী। রীতি মেনে দশমীতে হাওড়া ও হুগলিতে কিছু বাড়ি ও বারোয়ারি পুজোর ভাসান হয়েছে। বেশিরভাগ বারোয়ারি পুজোর ভাসান হয়েছে দ্বাদশীর রাতে। কিছু পুজোর ভাসান হবে আজ, মঙ্গলবার।

প্রতিমা দেখতে ভিড় চন্দননগরের মণ্ডপে। ছবি: তাপস ঘোষ

প্রতিমা দেখতে ভিড় চন্দননগরের মণ্ডপে। ছবি: তাপস ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১৪
Share: Save:

বিজয়া দশমীর পরেও মণ্ডপে ঠাকুর দেখার জন্য লম্বা লাইন থাকল দুই জেলার বিভিন্ন মণ্ডপে। ক্যালেন্ডারের হিসেবে যে পুজো শেষ, সেটাই বোঝা দায়। পঞ্চমী থেকে শুরু হওয়া ভিড় দেখা গেল দ্বাদশীর দুপুরেও।

এ বার পুজোর দিনগুলিতে কম-বেশি বৃষ্টি ভুগিয়েছে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও অনেকে বেড়োতে পারেননি। একাদশী ও দ্বাদশীতে সেই আক্ষেপই যেন পূরণ করে নিচ্ছেন দুই জেলার মানুষ। যে পুজোগুলিতে ভিড়ের জন্য ঢোকা যায়নি, সেগুলিতেও ঢুঁ মেরে নিচ্ছেন অনেকে। যাঁরা পুজোর সময়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা বাড়ি ফেরার ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছেন।

এ বার একাদশী ছিল রবিবার, দ্বাদশীর দিন ছিল গাঁধী জয়ন্তী। রীতি মেনে দশমীতে হাওড়া ও হুগলিতে কিছু বাড়ি ও বারোয়ারি পুজোর ভাসান হয়েছে। বেশিরভাগ বারোয়ারি পুজোর ভাসান হয়েছে দ্বাদশীর রাতে। কিছু পুজোর ভাসান হবে আজ, মঙ্গলবার। টানা ছুটি থাকায় একাদশীর সকাল থেকে রাত এবং দ্বাদশীর দুপুর পর্যন্ত মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছিলেন মানুষ। চুঁচুড়ার রথতলা সর্বজনীনের মণ্ডপে একাদশীর সন্ধ্যাতেও লাইন পড়েছিল। এছাড়া কারবালা বিবেকানন্দ রোড সর্বজনীন, কেওটা নবীন সঙ্ঘ, ৩ নম্বর গেট জাগরণী সঙ্ঘ, কেওটা উজ্বল সঙ্ঘের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। এছাড়াও মশাট, চণ্ডীতলা, আরামবাগ, হাওড়ার বাগনান, উলুবেড়িয়া-সহ বিভিন্ন পূজো মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা। দশমীর পর আলো এবং মন্ডপের কিছুটা অংশ খুলে ফেলা সত্বেও ভাঙা হাটেও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। চুঁচুড়ার অন্যতম পুজো উদ্যোক্তা দেবাশিস কুণ্ডু জানান, এ বার পুজোয় দশমী ও একাদশীতেও ভিড় সামাল দিতে হয়েছে।

চুঁচুড়ার বাসিন্দা রুমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুজোর সময় বাংলার বাইরে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তাই ঠাকুর দেখা হয়নি। দশমীর পরে বাড়িতে ফেরার পরে ঠাকুর দেখতে বেড়িয়েছি। এত সুন্দর মণ্ডপ না দেখলে সত্যিই আফশোস থেকে যেত।’’

রাস্তায় মানুষ থাকায় পুলিশকেও টহলদারি বা়ড়াতে হয়েছে। চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, পুজোর বিশেষ রোস্টার সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত করা হলেও রাস্তায় মানুষের ভিড় সামলাতে কয়েকটি জায়গায় দ্বাদশীর সকাল পর্যন্ত সেই রোস্টার চালাতে হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE