হাসপাতালে চলছে বিক্ষোভ। (ইনসেটে) মৃত সুষমা বেদ। —নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসার ভুলে এক প্রসূতি এবং তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগে বৃহস্পতিবার পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন পরিবারের লোকেরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। মৃতার নাম সুষমা বেদ (১৯)। তাঁর পরিবারের তরফে পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের বিএমওএইচ শ্রীকান্ত চক্রবর্তী। চিকিৎসকদের অনুমান, শ্বাসকষ্টের কারণে ওই প্রসূতি মারা যান।
পরিবারের লোকেরা জানান, সুষমার শ্বশুরবাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়ায়। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুষমা কিছু দিন ধরে পান্ডুয়ার ক্ষীরকুন্ডি-নামাজগ্রাম পঞ্চায়েতের সোনারগাঁ গ্রামে বাপের বাড়িতে ছিলেন। সর্দি-কাশি হওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে এবং গর্ভস্থ শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। দেহ পান্ডুয়া হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। চিকিৎসার
ভুলে ওই পরিণতি, এই অভিযোগ তুলে বেলা ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। হাসপাতালের সামনে বসে পড়েন মৃতার ক্ষুব্ধ পরিজনেরা। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
মৃতার বাবা নিতাই বেদ পান্ডুয়া থানা এবং বিএমওএচ-এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘চিকিৎসার ভুলেই মেয়েকে আর ওর গর্ভস্থ সন্তানকে মরতে হল। দোষী চিকিৎসকের শাস্তি হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy