প্রতীকী ছবি।
আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে ধৃত রিষড়ার বিজেপি নেতা ভাস্কর শীলকে থানায় বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। পুলিশ অভিযোগ মানেনি।
রিষড়া লক্ষ্মীপল্লির বাসিন্দা, বিজেপির স্থানীয় মণ্ডলের সহ-সভাপতি ভাস্করকে বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, লক্ষ্মীপল্লিতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের পিছনে জড়ো করে রাখা কাঠের ভিতর থেকে তাঁর লুকিয়ে রাখা একটি সেভেন এমএম পিস্তল এবং দু’রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। শুক্রবার তাঁকে শ্রীরামপুর আদালতে এসিজেএম অমরকিশোর মাহাতোর এজলাসে তোলা হয়। পুলিশ তাঁকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার আবেদন জানায়। বিচারক তাঁকে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো এবং শ্রীরামপুর জেলের সুপার এবং ওয়ালশ হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্টকে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।
সূত্রের খবর, এ দিন আদালত চত্বরে ভাস্কর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিচারককে তাঁর আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানান, মক্কেল তাঁকে জানিয়েছেন, পুলিশ হেফাজতে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। এর পরেই বিচারক ওই নির্দেশ দেন। পুলিশ হেফাজতে রাখার আবেদন নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে আদালত জানায়। ধৃত নেতার আইনজীবী বলেন, ‘‘আমার মক্কেলের শরীরে লাঠির আঘাতের দাগ ছিল। সবাই তা দেখেছেন। পুলিশ হেফাজতেই মারধরের ফলে এটা হয়েছে বলে মক্কেল আমাকে জানিয়েছেন।’’
বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, ‘‘ভাস্করকে একে সাজানো অভিযোগে ধরা হয়েছে। থানায় ওঁকে প্রচণ্ড মারা হয়েছে। তৃণমূলের নির্দেশেই পুলিশ এমন করছে।’’ চন্দননগর কমিশনারেটের অবশ্য দাবি, ধৃতকে আদপেই মারধর করা হয়নি। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র যে তাঁরই, তা তিনি স্বীকার করেছেন। বিজেপি নেতাকে আদালতে তোলার সময় তৃণমূলের লোকেরা বিক্ষোভ দেখান। রিষড়ার পুরপ্রধান তথা শহর তৃণমূল সভাপতি বিজয়সাগর মিশ্র বলেন, ‘‘কেউ বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরা পড়লে আইনি যা পদক্ষেপ করার, পুলিশ করবে। রাজনৈতিক ভাবে আমরা বেআইনি অস্ত্র রাখার নিন্দা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy