Advertisement
১৯ মার্চ ২০২৪

প্রশ্ন সুপার স্পেশ্যালিটির নিরাপত্তা নিয়ে

হাসপাতালের সুপার শিশির নস্করের দাবি, ‘‘ওই রোগী কী ভাবে পালালেন তা সিসিটিভি-র ফুটেজে ধরা পড়েনি। তবে, মনে হচ্ছে বাথরুমের জানলা দিয়ে গলে পাইপ বেয়ে পালিয়েছেন। উনি মদে আসক্ত ছিলেন।’’

ফস্কা-গেরো: ঝকঝকে নীল-সাদা ভবন। সেখানেই ওঠে মোটর বাইক চুরি যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। কখনও পালিয়ে যান রোগী। নিজস্ব চিত্র

ফস্কা-গেরো: ঝকঝকে নীল-সাদা ভবন। সেখানেই ওঠে মোটর বাইক চুরি যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। কখনও পালিয়ে যান রোগী। নিজস্ব চিত্র

পীযূষ নন্দী
আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮ ০৮:৪০
Share: Save:

দিন পাঁচেক আগে হাসপাতালের সামনের চত্বর থেকে মোটরবাইক চুরি হয়েছিল। এখনও খোঁজ মেলেনি। শনিবার আবার শয্যা থেকে বেপাত্তা হয়ে গেলেন এক রোগী! পরে তাঁর খোঁজ মেলায় এ যাত্রায় স্বস্তি পেলেন আরামবাগ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

গোঘাটের হাজিপুরের বাসিন্দা বরুণ বাগ নামে বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তিকে গত বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারে লোকেরা। তিনি বিষ খেয়েছিলেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ির লোক তিন তলার ‘মেল মেডিসিন’ ওয়ার্ডে গিয়ে দেখেন রোগী শয্যায় নেই। তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। বরুণের খোঁজ না-মেলায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয়। রোগীর আত্মীয়েরা হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপারের কাছে বিক্ষোভ দেখান। দুপুর ২টা নাগাদ অবশ্য বরুণ নিজেই পরিবারের লোকদের ফোন করে জানান, তিনি বাড়ি চলে এসেছেন।

হাসপাতালের সুপার শিশির নস্করের দাবি, ‘‘ওই রোগী কী ভাবে পালালেন তা সিসিটিভি-র ফুটেজে ধরা পড়েনি। তবে, মনে হচ্ছে বাথরুমের জানলা দিয়ে গলে পাইপ বেয়ে পালিয়েছেন। উনি মদে আসক্ত ছিলেন।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব রোগীর চিকিৎসা করা। তাঁকে পাহারা দেওয়া নয়। কেউ পালালে পুলিশে অভিযোগ করা ছাড়া কিছু করার নেই। ভবিয্যতে যাতে এমনম ঘটনা না-ঘটে তার জন্য বাথরুমের জানলায় লোহার গ্রিল দিতে বলেছি নির্মাণ সংস্থাকে।”

ওই নির্মাণ সংস্থা বা রোগীর বাড়ির লোকেরা অবশ্য বাথরুমের জানলা গলে পালানোর কথা মানতে চাননি। তেমন কিছু করা সম্ভব নয় বলে তাঁদের দাবি। একই সঙ্গে তাঁদের সন্দেহ, নার্স, চিকিৎসক এবং নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ এড়িয়ে বরুণ সিঁড়ি দিয়েই নেমে পালিয়েছেন।

৬০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকায় পাঁচতলা হাসপাতালটি চালু হয় গত বছর। মোট ১৮ জন নিরাপত্তা কর্মী আছেন। তাঁরা তিনটি শিফ্‌টে ভাগ হয়ে কাজ করেন। কর্তব্য পালনে উদাসীনতার অভিযোগ তাঁরা মানতে চাননি। অবশ্য মেনে নিয়েছেন, প্রয়োজনের তুলনায় কম নিরাপত্তা কর্মী থাকায় গোটা ভবন এবং বিশাল চত্বরে নজরদারিতে অসুবিধা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Arambagh super speciality hospital Security
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE