Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
শ্রীরামপুর পুরসভায় অচলাবস্থা কাটল

কাজে যোগ দিলেন অস্থায়ী সাফাইকর্মীরা

পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অস্থায়ী সাফাইকর্মী এবং শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। পরবর্তীকালে যখন যেমন সুযোগ মিলবে, ধাপে ধাপে অস্থায়ী সাফাইকর্মীদেরও স্থায়ী করা হবে। শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেই ওই পদক্ষেপ করা হবে।’’ পুরপ্রধানের কথায়, ‘‘সমন্বয়ের একটা অভাব হয়েছিল। সেই কারণেই ওই কর্মীরা কিছুটা ভুল বুঝেছিলেন। তবে, সব মিটে গিয়েছে।’’

শ্রীরামপুর পুরসভা।

শ্রীরামপুর পুরসভা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০৩:১৯
Share: Save:

স্থায়ী করার দাবিতে সোমবার থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন শ্রীরামপুর পুরসভার অস্থায়ী সাফাইকর্মীদের একাংশ। পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, আলোচনায় সমস্যা মিটেছে। বুধবার সকলেই কাজে যোগ দিয়েছেন।

পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অস্থায়ী সাফাইকর্মী এবং শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। পরবর্তীকালে যখন যেমন সুযোগ মিলবে, ধাপে ধাপে অস্থায়ী সাফাইকর্মীদেরও স্থায়ী করা হবে। শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেই ওই পদক্ষেপ করা হবে।’’ পুরপ্রধানের কথায়, ‘‘সমন্বয়ের একটা অভাব হয়েছিল। সেই কারণেই ওই কর্মীরা কিছুটা ভুল বুঝেছিলেন। তবে, সব মিটে গিয়েছে।’’

পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিভিন্ন বিভাগের বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করা হয়। কিন্তু তার পদ্ধতি নিয়ে পুরসভার অন্দরেই প্রশ্ন ওঠে। যাঁদের স্থায়ী করা হয়েছে, তাঁদের সকলেরই যথেষ্ট অভিজ্ঞতা নেই বলে গুঞ্জন শুরু হয়। অস্থায়ী সাফাইকর্মীদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে রাস্তায় নামেন। সোমবার তাঁরা শহরের স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে অবস্থানে বসেন। তাঁদের অভিযোগ, অস্থায়ী সাফাইকর্মীদের অনেকেই বহু বছর ধরে কাজ করছেন। খুবই কম বেতনে তাঁদের কাজ করতে হয়। কষ্ট করে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু তাঁদের সুযোগ না দিয়ে অল্প কিছু দিন‌ কাজে যোগ দেওয়া অন্য বিভাগের কর্মীদের স্থায়ী করা হয়েছে। কেন তাঁদের সঙ্গে এমন বঞ্চনা করা হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে সরব হন সাফাইকর্মীরা। বিভাগের পুর পারিষদ গৌরমোহন দে সেখানে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাতেও বরফ গলেনি।

মঙ্গলবার সকালে কয়েকটি ওয়ার্ডে সাফাইকর্মীরা কাজ করতে অস্বীকার করেন। ওই দিন পুরসভার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিকেলে পুরপ্রধান আন্দোলনকারী এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখানেই জট কাটে বলে পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি। বুধবার গৌরমোহনবাবু বলেন, ‘‘সাফাই বিভাগ জরুরি বিষয়। হঠাৎ করেই কিছু শ্রমিক কাজ ন‌া করায় সমস্যা হচ্ছিল। তবে সমস্যা মিটেছে। সকলেই কাজে যোগ দিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sanitation worker Labour Agitation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE