দাবিমতো বাড়তি পণ না-পাওয়ায় এক মহিলাকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। পুলিশ মহিলার শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে।
রবিবার সকাল ১০ টা নাগাদ আরামবাগের মনসাতলার বাসিন্দা দীপ্তি হাজরা (৩২) নামে ওই মহিলাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়শিরা উদ্ধার করে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার রাতে
তাঁর মৃত্যু হয়। খুনের চেষ্টার অভিযোগে রবিবার রাতেই পুলিশ দীপ্তির শাশুড়ি লতিকা হাজরাকে গ্রেফতার করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এ বার তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু করা হচ্ছে। ঘটনায় অভিযুক্ত দীপ্তির স্বামী গোপাল এবং শ্বশুর তপনবাবুও। তাঁরা পলাতক। তাঁদের
খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, দীপ্তির বাপের বাড়ি আরামবাগের ডিহিবয়রায়। ছ’বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর একটি পাঁচ বছরের পুত্রসন্তান আছে। রবিবার সকালে দীপ্তি অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরেই সন্ধ্যায় তাঁর দাদা পিন্টু বারুই আরামবাগ থানায় লিখিত বোনের স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
দীপ্তির বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, তাঁর বিয়েতে নগদ ২৫ হাজার টাকা, পাঁচ ভরি সোনার গয়না, খাট, বিছানা, আলমারি সবই দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বিয়ের চার মাস পর থেকে দীপ্তিকে আরও এক লক্ষ টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনার জন্য চাপ দিতে থাকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আনতে না-পারায় তাঁর উপরে নির্যাতনও চালানো হচ্ছিল। দীপ্তির দাদার দাবি, ‘‘বোনের বাপেরবাড়ি আসাও বন্ধ করে দিয়েছিল ওরা। রবিবার সকালে বোনের পড়শিরাই ফোনে জানান, ওঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে গোপালরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy