প্রতীকী ছবি।
জল্পনার অবসান। প্রতিক্ষারও।
আজ, শনিবার থেকেই হাওড়া-হুগলি দুই জেলায় শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ। প্রথম পর্যায়ে এই প্রতিষেধক পাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরবর্তী পর্যায়ে কোভিড মোকাবিলার কাজে যুক্ত অন্যান্য ‘যোদ্ধা’ এবং সব শেষে সাধারণ জনগণকে দেওয়া হবে। আপাতত প্রথম পর্যায়ের কাজ সুষ্ঠু ভাবে করা নিয়েই ব্যস্ত দুই জেলার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। গত ৮ জানুয়ারি দুই জেলাতেই স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার মহড়া বা ‘ড্রাই রান’ করা হয়। হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) শুভ্রাংশু চক্রবর্তী জানান, মোট ১২টি হাসপাতালে টিকাকরণের কাজ চলবে। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও এবং সিএমওএইচ চুঁচুড়ায় ইমামবাড়া জেলা সদর হাসপাতালে এর সূচনার সময় থাকতে পারেন। প্রতিটি কেন্দ্রেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এক আধিকারিক টিকাকরণের তদারকির দায়িত্বে থাকবেন। প্রতি কেন্দ্রে দৈনিক ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন পাবেন।
প্রোটোকল মেনে থার্মাল-গান দিয়ে তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধুতে হবে। পরিচয়পত্র মিলিয়ে দেখা হবে। কম্পিউটারে তা নথিভুক্ত করা হবে। তার পরেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গেলে আধঘণ্টা পর্যবেক্ষণ কক্ষে থাকতে হবে। শরীরে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা, তা দেখতেই পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই টিকাকারণের জন্য পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার এখানে টিকাকরণের তোড়জোড় চলেছে। ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে দেখা যায়, এই সংক্রান্ত বোর্ড লাগানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, হুগলিতে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা ৩৪ হাজার। প্রথম পর্যায়ে তাঁদেরই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই তালিকায় আশাকর্মীরাও রয়েছেন। তবে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা এই তালিকায় নেই। সিএমওএইচ বলেন, ‘‘সব কিছুই করা হবে প্রোটোকল মেনে। আমরা তৈরি।’’ তিনি জানান, এক জনকে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ় নিতে হবে। দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে প্রথমটি দেওয়ার ৪ সপ্তাহ পরে। দিন কয়েক আগে হুগলিতে ৩২ হাজার ডোজ় ভ্যাকসিন পৌঁছেছে। হাওড়া জেলায় মোট আটটি কেন্দ্রে টিকাকরণ চলবে। প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক ১০০ জনের টিকাকরণ করা হবে। এই পর্যায়ে মোট ১৪ হাজার জনকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাই এর আওতায় আসবেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘সুষ্ঠুভাবে টিকাকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, টিকা এসে গিয়েছে। তা সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy