তাণ্ডব: আবাসনে ভাঙচুর করা হয়েছে গাড়িতে। নিজস্ব চিত্র
হাওড়ার শালিমারে রেলের নির্মাণকাজে ইমারতি দ্রব্য কে সরবরাহ করবে, তাই নিয়ে দু’পক্ষের বিবাদ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়াল। সোমবার একটি সংস্থার মালিকের উপরে হামলা এবং তাঁর আবাসনে ঢুকে মারধর, ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে অন্য একটি সংস্থার আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আতঙ্কিত আবাসনের বাসিন্দারা পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
শালিমার স্টেশনে রেলের নির্মাণকাজ চলছে গত কয়েক বছর ধরে। কাজের মূল বরাত পেয়েছে রেলেরই সংস্থা ইরকন। কিছু অংশের সাব-টেন্ডার পেয়েছে একটি সংস্থা। তারা আবার সিমেন্ট, রড, পাথরকুচি-সহ ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের দায়িত্ব দিয়েছে স্থানীয় এক সংস্থাকে।
অভিযোগ, এ দিন সকালে ওই স্থানীয় সংস্থার অংশীদার রাহুল সিংহ নামে এক যুবকের উপরে হামলা চালায় আর এক গোষ্ঠী আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন রাহুল। দুপুরে ওই দুষ্কৃতীরাই আরও লোকজন এনে হামলা চালায় রাহুলের ফ্ল্যাটে। ওই ব্যক্তির গাড়ি ও আবাসনের আলো ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের।
দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, থমথম করছে আবাসন চত্বর। রাহুলের মা মাধুরীদেবী বলেন, ‘‘ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ ছিল। গ্রিলের গেটেও তালা দেওয়া ছিল। সেই গ্রিলের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে ৫০-৬০ জন। ঘরে বৌমা আর নাতনিকে নিয়ে কাঁপছিলাম।’’ ওই প্রৌঢ়ার আরও অভিযোগ, ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ নিয়ে দু’টি সংস্থার মধ্যে গোলমাল চলছে বিশ্বর্কমা পুজোর পর থেকে। রবিবারও আবাসনের সামনে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি সংস্থার কর্মীদের কাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়।
হাওড়ার পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘রবিবারের গুলি চালানোর ঘটনায় চন্দন সিংহ নাম এক জনকে ধরা হয়েছে। এ দিনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy